• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কোরিয়া সংকট সমাধানে ওবামার পরামর্শ

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:০২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট

উত্তর কোরিয়া সংকট সমাধানে কূটনীতির উপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের সাও পাওলো’তে আয়োজিত গ্লোবাল সিটিজেনশিপ ফোরামে ভাষণ দেয়ার সময় ওবামা বলেন, ট্যাংক কিংবা যুদ্ধবিমান কখনই বিশ্বের সমস্যা সমাধানে কার্যকর নয়। উত্তর কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর সম্পর্কের বিষয়ে ওবামা এমন মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটালেন।

ওবামা বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া এমন এক হুমকি যা শক্তিশালী জোটের মাধ্যমেই মোকাবেলা করা উচিত।’ এসময় তিনি পিয়ংইয়ং সরকারকে থামাতে সেনাশক্তির বদলে কূটনৈতিক তৎপরতার উপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান।  

পিয়ংইয়ং ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মধ্যকার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটেছে। আবার উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে চাপ দেয়ার উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ওবামা বলছেন, বিশ্বের শান্তির জন্য আমাদের মূল হুমকি ছিল ইরান। কিন্তু সেই দেশটি একসময় সমঝোতায় পৌঁছেছে। তারা পরমাণু অস্ত্র চুক্তিতেও স্বাক্ষর করে নিশ্চিত করেছে যে বিশ্বের জন্য তারা হুমকি হয়ে দেখা দেবে না। এখন উত্তর কোরিয়া হুমকির সেই স্থান দখল করেছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার সময়ে কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমেই ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্র। এবং সেটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি। ওবামা বলেন, সবার আগে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ২০১৫ পরমাণু অস্ত্রের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে ইরান একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এরফলে দেশটির উপর থেকে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ বেশ কিছুটা হ্রাস পায়।

বক্তব্যে ওবামা বর্তমান মার্কিন সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগের সমালোচনা করেন। যার মধ্যে ছিল উগ্র-জাতীয়তাবাদ, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ, জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা। ওমাবা ইন্টারনেট এবং মিডিয়ার উপর কড়াকড়ি আরোপের সমালোচনা করে বলেন, এসব সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।

দেশের অর্থনীতিকে সফল করার জন্যে ওবামা সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার বজায় রাখার উপরও গুরুত্ব দেন। বলেন, উগ্র জাতীয়তাবোধের উত্থান দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করার প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে। বরং সকল মানুষ যাতে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে সরকারকে সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মতভেদ দূর করতে না পারাটা তার ব্যর্থতা জানিয়ে বলেন, আমি সবসময় শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যখন আমি দায়িত্ব ত্যাগ করি তখন দেখতে পাই, সবার মধ্যে ঐক্য দেখা দেয়ার যে স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম তা উবে গেছে।

মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট শুক্রবার আর্জেন্টিনা সফর করছেন। সেখানে করডোবা শহরে অনুষ্ঠিতব্য গ্রিন ইকোনোমি সামিটে তিনি অংশ নিচ্ছেন।

সর্বাধিক পঠিত