• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সিনিয়র ও জুনিয়র কনসালটেন্ট ছাড়াই চলছে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগ ॥ রোগীদের দুর্ভোগ

প্রকাশ:  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

২শ’ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ডাক্তারের উপস্থিতি বাড়লেও ১ মাস যাবৎ অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই চলছে গাইনী বিভাগের কার্যক্রম। গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগে কর্মরত সিনিয়র এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) দু’জনই রয়েছেন ছুটিতে। এঁদের মধ্যে ডাঃ ফাতেমা বেগম আছেন এলপিআর-এ এবং অপরজন আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এতে করে একদিকে এ বিভাগে দক্ষ চিকিৎসকের সমস্যায় ভুগছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অন্যদিকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা পড়ছেন মারাত্মক দুর্ভোগে। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে সহসা ডাক্তার নিয়োগ না হলে যে কোনো সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন রোগীরা।
    হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ ক’জন রোগীর সাথে কথা হলে তারা জানান, গাইনী ও প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট নেই। এতে করে ডেলিভারীসহ গাইনী সমস্যায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
    হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল আজীম জানান, গাইনী বিভাগে কর্মরত সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডাঃ ফাতেমা বেগম গত ১ জানুয়ারি থেকে অবসরজনিত (এলপিআর) ছুটিতে রয়েছেন। আর জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডাঃ তাবেন্দা আক্তার গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। বর্তমানে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে ডাঃ নুসরাত জাহান ও  মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডাঃ নাসরীন পারভীন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। আমরা এই বিভাগের জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদে ডাক্তার নিয়োগ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
    তিনি আরো জানান, এই হাসপাতালে চিকিৎসকের উপস্থিতি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আজকেও ৪৬জন চিকিৎসকের মধ্যে ৪২জন উপস্থিত রয়েছেন। বাকি চারজন নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন। ডাক্তারদের উপস্থিতি এখন বায়োমেট্রিক অর্থাৎ ফিঙ্গার প্রিন্টে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। হাসপাতালে আসা ইনডোর-আউটডোর রোগীদের চিকিৎসা সেবার কোনো সমস্যা আপাতত তিনি দেখছেন না বলে জানান। গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তি আছেন ২৯২ জন এবং জরুরি বিভাগ থেকে  চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন ২৭৬ জন।
    রোগীদের স্বজনরা জানান, এ হাসপাতালের নাক-কান গলা এবং চক্ষু ডাক্তার সপ্তাহে দু’দিন পাওয়া যায়। আউটডোরে রোগীরা বেশি বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগের শিকার হন। এখানে রোগীর চাপ বেশি। অর্থোপেডিক ডাঃ সাব্বির আহমেদ, ডাঃ আনিছ ও গাইনী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ তানিয়ার চেম্বারের সামনে রোগীর জটলা লেগেই থাকে। রোগীর ভিড়ের এ সুযোগ কাজে লাগায় হাসপাতালের আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা। তারা রোগীর সহজ-সরল স্বজনদের পটিয়ে তাদের ক্লিনিকে ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যায়।
    
 

সর্বাধিক পঠিত