চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসা শিবির উদ্বোধন
ভালো কাজে কাউকে উৎসাহ দিলে ঐ এলাকার মানুষ বেশি উপকৃত হয় : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুর রহিম খান
সাড়ে ৩ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও ৭০জন রোগীকে অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী-নানুপুর চৌরাস্তায় অবস্থিত চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১০টায় এ চক্ষু চিকিৎসা শিবির শুরু করে জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লা।
চক্ষু চিকিৎসা শিবির আনুষ্ঠানকিভাবে উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুর রহিম খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ¯্রষ্টার সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম হলো চক্ষু। আর এই চক্ষু না থাকলে আমরা অপরূপ সৌন্দর্যের কিছুই দেখতে পারতাম না। সকলকে নিজের চক্ষুর যতœ নিজেকেই নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ভালো কাজে কাউকে উৎসাহ দিলে ঐ এলাকার মানুষ বেশি উপকৃত হয়। রোকন সেবামূলক কাজ করে অনেক আনন্দ পান। তাই আমরা তাকে এ ধরনের কাজে বেশি বেশি উৎসাহিত করবো। আমি আশা করি এ চক্ষু শিবির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর পরিধি আরো বড় হবে, আরো বেশি মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। এ ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা যেনো দুঃস্থ অসহায় গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পারি সে ব্যবস্থাও করতে হবে। আর এ আয়োজন করার জন্যে হাসপাতালের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান রোকনকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি কুমিল্লার কর্মকর্তারাও ভালো কাজের জন্যে প্রশংসার দাবীদার।
চাঁদপুরজমিন হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকাস্থ চাঁদপুর সদর উপজেলা সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডঃ মোরশেদা নাছির বেবী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও ঢাকাস্থ চাঁদপুর সদর উপজেলা সমিতির সদস্য সাজেদা সুলতানা কাকন। আরো বক্তব্য রাখেন নিজ গাছতলা মোহাম্মাদিয়া মাদানিয়া দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি শাহজাহান মোল্লা, প্রিন্সিপাল কারী মাওঃ ইমাম হোসেন। উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাগাদী নানুপুর জামে মসজিদের খতিব মাওঃ রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ দেলওয়ার হোসেন, দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম অনিকসহ অন্যরা। চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে ৪জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ সাড়ে ৩ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও ৭০জন রোগীকে অপারেশনের জন্যে ব্যবস্থা করা হয়। প্রতি ইংরেজি মাসের প্রথম রোববার এ চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়।