নিমের তেল ব্যবহারে হয়ে উঠুন আকর্ষণীয়
চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নিম তেলের বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, সংক্রমণ কমানোর পাশাপাশি ত্বকের নানা রোগের প্রকোপ কমাতেও এটি দারুণ কাজে দেয়। তাই নিয়মিত ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় যদি নিম তেলকে কাজে লাগানো হয়, তা হলে সাধারণত যেসব উপকার পাওয়া যায়-
ত্বক ফর্সা : ত্বকের পরিচর্যায় নিম তেল ব্যবহার করলে ত্বকের অন্দরে কোলাজনের উৎপাদন বেড়ে যেতে শুরু করে, ফলে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
ত্বকের আর্দ্রতা ফিরে আসে : শুষ্ক ত্বক যাদের, তারা নিয়মিত এ তেল লাগালে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। রোজ নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে নিম তেল মিশিয়ে ভালো করে সারা শরীরে ম্যাসেজ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ব্রণের প্রকোপ কমে : নিম তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ থাকায় এটি ব্রণের স্থানে লাগালে ব্রণের প্রকোপ কমতে থাকে। ভালো ফল পেতে কয়েক ফোঁটা নিম তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। কখনই নিম তেল সরাসরি মুখে লাগাবেন না।
ত্বকের বয়স কমে : সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স না বাড়ুক, এমনটা যদি চান, তা হলে নিয়মিত নিম তেল দিয়ে ত্বকের ম্যাসেজ করতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে বলিরেখা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্কিন টানটান হয়। ফলে ত্বকের বয়স কমতে সময় লাগে না।
খুশকির সমস্যা দূর হয় : সাধারণত ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলেই এ ধরনের ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে, যা নিম তেলের ব্যবহারে একদম কমে যায়। স্কাল্পের যে কোনো ধরনের সংক্রমণ কমাতেও নিম তেলের বিকল্প নেই। আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না কেন, তাতে কয়েক ড্রপ নিম তেল মিশিয়ে রোজ মাথায় লাগান।
হাইপারপিগমেন্টেশনের মতো সমস্যা দূর হয় : ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বাড়লেই আশঙ্কা বাড়ে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা হওয়ার। নিয়মিত যদি সারা শরীরে নারকেল তেলের সঙ্গে নিম তেল মিশিয়ে লাগানো যায়, তাহলে মেলানিনের মাত্রা কমে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কমতে শুরু করে হাইপারপিগমেন্টেশন সমস্যা।
স্কিনের যত্নে কাজে আসে : নিমে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ থাকার কারণে ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্র বন্ধ করতে এটি দারুণ কাজে আসে। স্কিনের যত্ন নিতে নারকেল তেলের সঙ্গে নিম তেল মিশিয়ে মুখে লাগান।