• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নির্বাচনে সেনা চায় তরীকত ফেডারেশন

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ০০:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। তবে ভোটের মাঠে সেনাবাহিনীকে সীমিত আকারে স্ট্রাইকিং ফোর্স আকারে চেয়েছে বর্তমান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলটি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এ পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। 

এর আগে সংলাপে অংশ নেয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছিল। তবে তারা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করে মাঠে নামানোর পরামর্শ দিয়েছে। গতকাল ইসির সঙ্গে সংলাপ শেষে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ ১২টি প্রস্তাবনা আমরা দিয়েছি। এ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চাই। তবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে যাব না। এ সরকারের অধীনে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে এর অধীনে নির্বাচন করতে হবে। 

তরীকত ফেডারেশনের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনাগুলো হলো- নির্বাচনের সময় কোনো অপশক্তি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করতে না পারে এবং জনগণের মালামাল ও নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য ইসির তত্ত্বাবধানে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা, নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা, ভোটগ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি চালু করা, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নির্বাচনে  কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা । 

এছাড়াও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শিক দল নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, তফসিল ঘোষণার ৬০ দিন আগে ভোটার তালিকা ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা এবং দলগুলো সড়ক বন্ধ করে যেন সভা সমাবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে তরীকত ফেডারেশন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ করে। বেলা এগারোটায় শুরু হওয়া এ সংলাপ প্রায় দুই ঘণ্টা চলে। এদিকে বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে ইসির সংলাপসূচি থাকলে দলটি বিশেষ কারণে আসতে পারবে না জানিয়ে সময় চেয়েছে। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে ইসি। ২৪শে আগস্ট এ সংলাপ শুরু হয়। এর আগে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী এ সাংবিধানিক সংস্থাটি।

সর্বাধিক পঠিত