বাস মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৩০
শরীয়তপুরে বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বাসের সিরিয়াল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বাস ভাংচুর ,পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত )সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর থেকে মাওয়া রুটে যাওয়া নিয়ে মালিক পক্ষের নাছির বেপারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের মধ্যে সিরিয়াল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে সকাল থেকে বাসস্ট্যান্ডে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। দুপুর ১২ টায় পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবীর সমঝোতা করার জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজম মাদবরসহ শ্রমিকদের নিয়ে তাদের অফিসে বসে। এ সময় মালিক সমিতির পক্ষে কিছু সংখ্যক লোকজন ওই বৈঠকে হামলা করে।
এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. হুমায়ুন কবীর, জাকির মাদবর, লিটন ছৈয়াল, নিজাম বেপারী, নাছির বেপারী,জাকির কাজি, রাজুসহ ৩০ জন আহত হয়। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজিত শ্রমিকরা মালিক সমিতির কার্যালয়ে হামলা করে চেয়ার টেবিল সহ ৪-৫টি বাস ভাংচুর করে। এ সময় পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজম মাদবর, মাহমুদুল্লাহ, শাহ আলম, মতলব হাওলাদার ও আতিক চৌকিদারকে আটক করেছে। আহত ওসি মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বাসের সিরিয়াল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকের অফিসে বসে সমঝোতার চেষ্টা করি। এ সময় মালিকপক্ষের লোকেরা শ্রমিকের অফিসে হামলা করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমার মাথায় ইটের আঘাত লেগে রক্তাক্ত জখম হয়।
পালং মডেল থানার ওসি অপারেশন মো. আলাউদ্দিন বলেন, বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বাসের সিরিয়াল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিলে ওসি হুমায়ুন কবীর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকের অফিসে বসে সমঝোতার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর গুরুতর আহত হয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।