• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অনুমোদন ছাড়াই অনিবাসীরা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন

প্রকাশ:  ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

এখন থেকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাংলাদেশি সরকারি-বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অনিবাসীদের (এনআরবি) ১০ লাখ টাকা (৮ হাজার ২০১ ডলার) পর্যন্ত বিনিয়োগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সার্কুলার ইস্যু করে সব অথরাইজড ডিলার ব্যাংককে তা পরিপালনের নির্দেশনা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ক্ষুদ্র বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সহজ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ছাড় দিয়েছে। তবে ১০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে আগের মতোই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের বিনিময়ে বাংলাদেশি কোম্পানিতে ১০ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকরা (এডি) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করবেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন না হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক গ্রাহকের (বিনিয়োগকারী) আবেদনের কপি তাদের কাছে রাখবে এবং নির্ধারিত ফরম্যাটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিনিয়োগকারীকে পাঠাবে।  

সার্কুলারে আরও বলা হয়, শেয়ার ইস্যুর আগে বিদেশ থেকে আনা অর্থ অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আসতে হবে। সহকারীরা পরিচালকরা সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করে নিশ্চিত করবেন, এই বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স ইকুইটি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। যার অধীনে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়েই এনক্যাশমেন্ট সার্টিফিকেট সংরক্ষণ করবে। এছাড়া শেয়ারহোল্ডারদের এবং অর্থের উৎস দেশের বাসিন্দার স্ট্যাটাস সংশ্লিষ্ট নথিপত্র থেকে নিশ্চিত করা হবে। আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির বিপরীতে শেয়ার ইস্যু করা হলে ব্যাংক আবেদনটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) সহজ করার এই উদ্যোগ এমন এক সময় এলো, যখন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের নিট এফডিআই প্রবাহ ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। এ সময়ে দেশে নিট এফডিআই ছিল মাত্র ১০৪ মিলিয়ন ডলার।  বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের একই সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ৩৬১ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে নিট এফডিআই প্রবাহ ৭১ শতাংশ কমে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ছাত্র আন্দোলনজনিত বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেখ হাসিনা বলা হচ্ছে, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে এফডিআই প্রবাহ কমে গেছে।

 

সর্বাধিক পঠিত