করোনার মধ্যেও চীনে বেড়েছে রফতানি, কন্টেইনার ‘সংকট’
চীনে রফতানি পণ্য পরিবহনের সর্বশেষ সূচক নতুন রেকর্ড গড়েছে। ফলে দেশটিতে পণ্যবাহী কন্টেইনার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মূলত রফতানি ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া।
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম দিকে রয়েছে চীন। এবছর নভেম্বরে দেশটির রফতানি হার ২১ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
চুক্তিভিত্তিক পরিবহনের জন্য চীনের কন্টেইনার বন্দরগুলো থেকে বিশ্বের ১২টি রুটে পণ্য পাঠানো হয়। সাংহাই শিপিং এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির কন্টেইনারভিত্তিক মালামাল পরিবহনের সূচক ছিল ১৪১১ দশমিক ৯৮, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
চীনের বন্দর সংস্থার তথ্যমতে, এবছরের নভেম্বরে কন্টেইনারে পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে বড় দুই বন্দর সাংহাই ও নিংবোতে বাৎসরিক ১৩ দশমিক ১ হারে পরিবহন বেড়েছে। গত বছর চীনে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কন্টেইনারে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির হার ছিল ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।
এর ফলে, কন্টেইনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাহিদা মেটাতে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক বাণিজ্য যে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, চীনের বন্দরগুলোর ব্যস্ততা বৃদ্ধি ও কন্টেইনার সরবরাহের ঘাটতি সেটাই নির্দেশ করছে।
এ প্রসঙ্গে চীনের বণিক নিরাপত্তা কোম্পানির বিশ্লেষক ইন রুইজে বলেন, ‘চীনের অধিকাংশ রফতানিই হয় সমুদ্রে কন্টেইনার পরিবহনের মাধ্যমে। মালামাল পরিবহনের সূচকটি রফতানি বৃদ্ধির সঙ্গে একই সরলরেখায় রয়েছে।’
চীনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফোরামের কাউন্সিল সদস্য লি কিলিন বলেন, ‘মহামারিকালীন সংকটে পণ্য উৎপাদনে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির দেশ চীন। এক্ষেত্রে উৎপাদন শুরু করার জন্য আর্থিক প্রণোদনাকে ধন্যবাদ দিতে হবে। এর ফলে চীনের কোম্পানিগুলো অনেক আন্তর্জাতিক অর্ডার পেয়েছে, যা অন্য দেশের কাছে চলে যেত।’
তবে হংকংয়ের গুয়াংজু বন্দর কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ডেং গুয়োশেং বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার কড়া নিয়মের কারণে বন্দরে জাহাজ অবস্থানে বেশি সময় লাগবে, যা পণ্য খালাসের ওপর প্রভাব ফেলবে।