করোনা : ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের তহবিল সরবরাহের সীমা বাড়ল
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পেশাজীবী, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য গঠিত তিন হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে এনজিও বা ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) অর্থ সরবরাহের সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে।
এতে বলা হয়, ‘কোনো ব্যাংক কর্তৃক কোনো একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ অর্থায়নের পরিমাণ হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিগত তিন বছরের বিতরণকৃত গড়ঋণ/বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ অথবা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে মোট তহবিলের (৩০০০ কোটি টাকা) ৫ শতাংশ, এর মধ্যে যা কম।’ আগের নির্দেশনায় যার পরিমাণ ছিল মোট তহবিলের ২ শতাংশ।
জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থায়নকারী ব্যাংকের অনুকূলে দেয়া পুনঃঅর্থায়নের বিপরীতে সুদ/মুনাফার হার হবে বার্ষিক ১ শতাংশ।
অর্থায়নকারী ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে দেয়া অর্থায়নের বিপরীতে সুদহার হবে বার্ষিক ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। এর বাইরে কোনো ধরনের চার্জ বা ফি নেয়া যাবে না।
কেবল ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সমিতিভুক্ত সদস্যরা এ ঋণ পাবেন। করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন গ্রাহকরা অগ্রাধিকার পাবেন। একক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ৭৫ হাজার টাকা।
আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা।