• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে ১১০ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়

প্রকাশ:  ২০ জুন ২০১৯, ০৯:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সরকার ঘোষিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময়ের আগেই চাঁদপুরে তামাকজাতীয় পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে বাজারজাত করছে পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিনিয়ত বাক্বিত-া ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হচ্ছে ক্রেতাদের। বাজেটের নাম করে পরিবেশকরা তামাকের গায়ের মূল্য থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে শুরু করেছে চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে। সুযোগ পেয়ে লাখ লাখ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট পরিবেশকরা। এতে প্রতারিত হচ্ছে ধূমপায়ী ক্রেতারা। তাদেরকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে সিগারেট কিনতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
সোমবার দুপুরে শহরের ওয়্যারলেসবাজার এলাকায় খুচরা সিগারেট বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কোনো উপায় না পেয়ে পরিবেশকদের বাড়ানো অতিরিক্ত মূল্যেই তাদের সিগারেট ক্রয় করতে হচ্ছে।
একই অবস্থা বিভিন্ন ব্র্র্যান্ডের জর্দা কোম্পানিগুলোর। কাউছ কেমিক্যালের হাকিমপুরী জর্দার ছোট প্লাস্টিক কৌটার দাম গত ১ সপ্তাহ ছিলো ২৫ টাকা। সংসদে বাজেট উপস্থাপনের দিন থেকে প্রতি কৌটা জর্দা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলেন, জর্দা কোম্পানিগুলো ৩০ জুনের পর থেকে আরো মূল্য বৃদ্ধি করবে বলে তাদেরকে জানিয়েছে।
ওয়্যারলেসবাজার এলাকার খুচরা সিগারেট বিক্রেতা সাগর জানান, ঈদের পূর্বে স্টার সিগারেটের কার্টুন ছিলো ৯শ’ টাকা, এখন ক্রয় করতে হচ্ছে ১ হাজার ১শ’ টাকায়। বেনসন ছিলো ২ হাজার ১শ’ টাকা, এখন ক্রয় করতে হচ্ছে ২ হাজার ৪শ’ টাকা করে। সব সিগারেটেরই মূল্য বাড়িয়েছে।
একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী মোঃ লোকমান জানান, ঈদের পূর্বে সিগারেট চাইলেও পরিবেশকরা দেয়নি। ঈদের পরে এখন দিচ্ছে কিন্তু গায়ের মূল্যের চাইতে অনেক বেশি দরে। ১১০ টাকার সিগারেট ক্রয় করতে হয় ১৬০ টাকায়। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, গায়ের দরের চাইতে আপনারা বেশি নিচ্ছেন কেন? এ নিয়ে আমাদের প্রতিদিনই কথা কাটাকাটি করতে হয়।
খুচরা বিক্রেতা মুকবুল জানান, সিগারেটের গায়ের দর আগেরটাই রয়েছে। কিন্তু এখন বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঈদের পূর্ব থেকেই সিগারেট সঙ্কট দেখিয়ে চাহিদার চাইতে কম দিয়েছে পরিবেশকরা। এখন গায়ের মূল্যের চাইতে বেশি দামে পরিবেশক থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী শহীদ জানান, ঈদের পূর্ব থেকেই সিগারেট দিচ্ছে না। এক ৫ প্যাকেট চাইলে ১ প্যাকেট দিচ্ছে, তাও বেশি দামে। স্টার, বেনসন, গোল্ডলিপ সব সিগারেটেই একই অবস্থা। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে কাস্টমারের সাথে জবাবদিহি করতে হয়।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড-এর চাঁদপুরের পরিবেশক মেসার্স আব্দুল লতিফ এন্ড সন্সের দায়িত্বরত ম্যানেজারের সাথে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

 

সর্বাধিক পঠিত