‘বিদেশীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিদেশীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু বিনিয়োগ করতে পথে পথে অনেক বাধা। এ দপ্তর, সে দপ্তর। ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে পিছিয়ে পড়া সমস্যা। ইতোমধ্যে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সহজীকরণ নিয়ে একটা মিটিং হয়েছে। আগামী মার্চে আরো একটি মিটিং হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। সোজা কথা, লাল ফিতার কাজের মধ্যে আমি নেই। আমি তো গায়ে খাটা মানুষ। লাল ফিতা দেখলেই আমার মাথা গরম হয়ে যায়। কাজ আটকে থাকবে কেন? যে কাজ আজকে করা সম্ভব, কালকের জন্য সেটা অপেক্ষা করব কেন?
মন্ত্রী বলেন, এজন্য আমাকেও একটু স্টাডি করতে হবে। লাল ফিতাটা কতটা গভীরে, সেটাও দেখতে হবে। আমরা চাই, আমাদের দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আসুক। আমরা এজন্য সবকিছু সহজ করতে চাই। এখানে বিনিয়োগ করে রিটার্ন নিয়ে যাওয়াতেও অনেক বাধা আছে বলে বিদেশীরা বলছে। আমি একটা একটা করে দেখতে চাই, কোথায় বাধা রয়েছে। এগুলো কীভাবে দূর করা যায়, সেটা দেখছি। যারা এ দেশে বিনিয়োগ করবে তারা তো লাভ নিয়ে যাবেই। বাধা দেওয়া হলে তো তারা নিরুৎসাহিত হবে। এ বিষয়ে আমাদের কমিটিও কাজ করছে। দেখা যাক কী হয়।
ইইউর বাজারে ২০২০ সালে জিএসপি রিভিউ করতে হবে, এজন্য বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জীবনে তো প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছি। আমি মনে করি, ইইউ আমাদের বন্ধু। জিএসপি রিভিউতে আমাদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের বেতন নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো, সে বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মপরিবেশসহ সবকিছু কমপ্লায়েন্স রাখতে হবে। এজন্য অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও আইএলও কাজ করছে। এ কাজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান আরসিসি পরিপূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করলে অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স চলে যাবে।
তথ্যসূত্র :