অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন ফরিদগঞ্জের হাঁসা বালিকা উবির নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাঁসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাঁসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ২ জন কর্মচারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নিয়োগ পরীক্ষার নেয়ার জন্য তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু কৌশলে টাকার বিনিময়ে কর্মচারি নিয়োগের অভিযোগ এনে গত ২৫ জানুয়ারি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নূরে আলম রনি নামে এক ব্যক্তি। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্তের জন্য কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
অভিযোগকারী নূরে আলম রনি জানান, আমরা এলাকার সন্তান হলেও আমাদের এলাকার প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগ করা হবে সেটি আমিসহ এলাকার কেউ জানে না। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান তার পছন্দমত লোক টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার কৌশলে কাউকে না জানিয়ে এমন পথ অবলম্বন করেন। তাই আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করি।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, নিয়োগের নিয়ম মেনে সকল কার্যক্রম করা হয়। নিয়মানুযায়ী গত ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২টি পদেই ৩টি করে ৬টি আবেদন পড়ে। আমরা যাচাই-বাছাই করে ৬ জনকেই ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তাদের পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র দেই। কিন্ত ২৬ জানুয়ারি বুধবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ফোন করে পরীক্ষা স্থগিত রাখার জন্য নিদের্শনা দেয়। তিনি তার বিরুদ্ধে টাকা লেনদেন এবং নিজের পছন্দ অনুযায়ী লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, যথাযথ নিয়মে নিয়োগ পরীক্ষা হবে। এর থেকে বেশি আমি কিছু বলতে চাই না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশরাফী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।