অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
![](/assets/news_photos/2024/06/09/image-34305-1717918664.jpg)
![](https://chandpurpost.com/templates/web-v1/images/icon_print_new.png?v=1.1)
বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকতে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে। এ জন্য সচেতনতার পাশাপাশি কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে ব্যবহারকারীকে।
নির্ভরযোগ্য ভিপিএন পরিষেবা ব্যবহার: আইপি অ্যাড্রেস গোপন রাখতে ভিপিএন বেশ কার্যকর। অনলাইনে শেয়ার করা তথ্যকে সুরক্ষিত রাখা ছাড়াও ভিপিএনের বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। ভিপিএন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও ব্যবহারকারীর পরিচয় সুরক্ষিত থাকে। তবে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য ভিপিএন ব্যবহার করা উচিত। বর্তমানে কয়েকটি কার্যকর ভিপিএন হলো এক্সপ্রেসভিপিএন, নর্ডভিপিএন ও সার্ফশার্ক ভিপিএন।
সার্চ হিস্ট্রি সেভ না করা: গোপনীয়তা রক্ষায় অনেকেই ইনকগনিটো মোডে ব্রাউজ করে থাকেন। তবে সার্চের ফল ব্রাউজারে সেভ না করার অপশন সেট করা থাকলে বিভিন্ন ট্র্যাকার ও বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অনলাইনে সুরক্ষিত থাকা যায়। হিস্ট্রি সেভ না করা বা ক্লিয়ার রাখা তথ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
নিরাপদ ইমেইল পরিষেবা ব্যবহার: ব্যবহারকারীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে ইমেইলে। কিছু ইমেইল পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সুরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ ইমেইল পরিষেবাগুলো কোনো প্রকার এনক্রিপশন সুবিধা দেয় না। এ জন্য তথ্য সুরক্ষায় একটি নিরাপদ ইমেইল পরিষেবা ব্যবহার করা জরুরি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য শেয়ারে সতর্কতা: ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের ক্ষেত্রে সচেতনতার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা সংগ্রহের অপশন বন্ধ রাখতে হবে।
মেসেজ এনক্রিপ্ট করা: ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থার মেসেজিং সার্ভিস ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও আই মেসেজের মতো অনেক মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় ব্যবহারকারীদের এ ধরনের মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের।
লোকেশন সম্পর্কিত তথ্য না দেওয়া: বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশকিছু অনুমতি দিতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যবহারকারীর লোকেশন বা অবস্থান। তথ্য সুরক্ষায় সব অ্যাপে লোকেশন পারমিশন না দেওয়া ভালো।
পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সতর্কতা: অনলাইনের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে যেকোনো জায়গার পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। সুরক্ষিত নয় এমন নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকলে তথ্য বেহাতের ঝুঁকি থাকে। যদি কোনো বিশেষ কারণে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তবে পাসওয়ার্ড ব্যবহার বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মতো সংবেদনশীল কার্যক্রম এড়িয়ে চলা উচিত।