• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এক মাসে ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ২০ লাখ!

প্রকাশ:  ০২ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

এ বছরের জুলাই মাসের শেষে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৬১ লাখ ৭৬ হাজার। তার ঠিক এক মাস পরে (গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত) এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজারে। এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ২০ লাখ ৪০ হাজার। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই নয়, দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে।

 

 

দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এক মাসে ২০ লাখ গ্রাহক বাড়ার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা এও বলছেন, গত এক মাসে বা কিছু সময় আগে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। গ্রোথ একই রয়েছে, যা গ্রাহক বেড়েছে তার সবই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য অনুসারে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীই বেড়েছে ২০ লাখ।

যদিও এ সময়ে দেশের দুটি মোবাইল ফোন অপারেটরের ওপরে বকেয়া অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে বিটিআরসি। দুটি অপারেটরেরই এনওসি বন্ধ রয়েছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে অপারেটর দুটি তাদের নতুন প্যাকেজ (ভয়েস কল ও ইন্টারনেট) ছাড়তে পারছে না। পুরনো প্যাকেজ দিয়েই অপারেশন চালাচ্ছে অপারেটর দুটি। ফলে এই সময়ে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক তথা ব্যবহারকারী বাড়ার কারণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪ এর মাধ্যমে দেশে ব্যান্ডউইথ আসছে ৪০০ জিবিপিএস। অন্যদিকে সেকেন্ড সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৫ এর মাধ্যমে আছে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। অবশিষ্ট ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, দেশের ৬টি আইটিসি হলো—সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড, ফাইবার অ্যাট হোম, নভোকম লিমিটেড, ওয়ান এশিয়া, বিডি লিংক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি যখন বলেছে তখন ঠিক আছে। ওটা মোবাইল ইন্টারনেট হবে হয়তো। কারণ, আমাদের ইন্টারনেটের (ব্রডব্যান্ড) কোনও গ্রোথ হয়নি। গ্রোথ আগের মতোই বলা যায়।’ তিনি বলেন, ‘আইএসপির মাধ্যমে বর্তমানে গ্রাহকরা ৯০০ জিবিপিএস’র মতো ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছেন। আর মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা ব্যবহার করছে ৫০০ জিবিপিএস।’

ইমদাদুল হক আরও বলেন, ‘আসলে আমরা বর্তমানে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ইস্যু নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আমরা ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারছি না। অন্যদিকে, আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। ফলে আমরা ব্রডব্যান্ডের দাম কমাতে পারছি না। এজন্য গ্রোথ হচ্ছে না।’

জানা গেছে, গত জুন মাসে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৯ হাজার। এর আগের মাস তথা মে মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার।