• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বাংলার আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডা. নুজহাত চৌধুরী

প্রকাশ:  ২৪ জুন ২০১৮, ০৮:১৮
এম .মনসুর আলীঃ
প্রিন্ট

নারীর অগ্রযাত্রা থেমে নেই । নারীরা এখন পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এগিয়ে চলছেন ।তারা তাদের যোগ্যতার ছাপ রেখে চলেছে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ।তাদেরই একজন ডা. নুজহাত চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।

ডা. নুজহাত চৌধূরী একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে। ডা. আলীম চৌধুরীর দুই কন্যা ,ফারজানা চৌধুরী নীপা এবং নুজহাত চৌধুরী শম্পা।তাদের মধ্যে নুজহাত চৌধুরী শম্পা ছোট। শিক্ষাবিদ ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী তার মা।বাবার খুব আদরের মেয়ে ছিলেন নুজহাত।তার পৈতৃক ভিটা কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার খয়েরপুর গ্রামে।   

ডা. নুজহাত চৌধূরীর শৈশব কেটেছে ঢাকায়। পড়াশুনা করেছেন  ঢাকার উদয়ন স্কুলে। এ স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে তিনি ভর্তি হন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজে। এইচএসসির পাশে পর চোখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।সেখান থেকে সফলতার সাথে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।তারপর এমএস (অপথালমোলজি) করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এছাড়া রেটিনার ওপর ভারতের এলভিপিএল থেকে ফেলোশিপ করেছেন ডা. নুজহাত চৌধূরী ।নারী উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।নারীদের সাফল্যের খবর আমাকে প্রেরণা যোগায় ।চারদিকে তাকালে দেখবেন, পোশাক শ্রমিক থেকে শুরু করে উঁচু পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা— সব ধরনের পেশাতেই নারীরা সাফল্য দেখাচ্ছেন।

 ডা. নুজহাত চৌধূরীর কর্মজীবন শুরু করেন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে প্রায় ন’ বছর কাজ করেছেন। এরপর সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে যোগ দেন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগে। বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ অপথালমোলজি সোসাইটির বিনোদন সম্পাদক এবং একাডেমি অব অপথালমোলজির কোষাধ্যক্ষ। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ইংরেজি ও বাংলায় নিয়মিত কলাম লিখেন ডা. নুজহাত চৌধূরী । টেলিভিশনেও চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।

 ভাত-ডাল পছন্দকারী ডা. নুজহাত চৌধূরী ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব  তার বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী।কর্মব্যস্ত এই মানুষটির অবসর নেই বললেই চলে।ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত ডা. নুজহাত চৌধূরী  অবসর এখন পরিবার ও সন্তানকে নিয়েই কাটে।শুধু রাজাকার বংশ ছাড়া তার বক্তৃতা শুনে কাঁদেননি এমন পাষাণ,নির্দয় মানুষ পাওয়া দূরূহ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার বক্তৃতা শুনে রুমাল দিয়ে বারবার চোখ  মুচ্ছেন ।

 

লেখকঃসাংবাদিক,সরাইল(অরুয়াইল),ব্রাহ্মণবাড়িয়া। [email protected]