ঝগড়ার পর যৌন মিলনেই শান্তি!
কলহ নাকি কষ্টিপাথর। তাতেই যাচাই সম্পর্ক কতটা খাঁটি। তবে ঝগড়া-ঝাটি যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই বেশ ঝামেলার। কখনও তা এমনিই মিটে যায়। কখনও আবার গড়ায় বিচ্ছেদে। তিক্ততা গাঢ় হলে কোনো সম্পর্কই টেকে না, সে দাম্পত্য হোক কিংবা প্রেম।
তবে ঝামেলার একটু পরেই নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন সঙ্গীরা। তখন আবার মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু তার পদ্ধতিটি কী? অবশ্যই বিভিন্ন মানুষের পছন্দ আলাদা রকমের। তবে সাধারণ প্রবণতার সমীক্ষা জানাচ্ছে এক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীদের পছন্দ বেশ আলাদা।
আমেরিকার বাকনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের টি জোয়েল ওয়েডের নেতৃত্বে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ধাপে ধাপে বহু মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়। প্রথমে কে কী পছন্দ করেন, এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় অনলাইনে। সারা পৃথিবী থেকে বহু মানুষ সে প্রশ্নের জবাব দেন। তার ভিত্তিতে ২১টি ক্যাটেগরি তৈরি করা হয়।
এবার এই অপশনগুলি দেওয়া হয় নারী-পুরুষদের মধ্যে। তারা নিজেদের পছন্দমতো অপশন বেছে নেন। তা মিলিয়েই একটি সাধারণ নকশা ফুটে ওঠে। পুরুষ ও নারীর পৃথক পছন্দের বিষটিও পরিষ্কার হয়।
কী চান পুরুষরা? সঙ্গীর সঙ্গে ঝামেলার পর পুরুষরা মিটমাটের ক্ষেত্রে যৌন মিলনেই বেশি মনযোগী হন। বেশিরভাগ পুরুষ বিশ্বাস করেন, সঙ্গীকে যৌনতায় পাওয়ার অর্থ সম্পর্কের উষ্ণতা একইরকম আছে।
অন্যদিকে নারীদের পছন্দ একেবারে ভিন্ন। তারা চান কান্নাকাটি করে মনের ভার লাঘব করতে। কিংবা ক্ষমা চেয়ে ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে। চোখের জল নেহাতই কাঁদাকাটা নয়, বরং বিগড়ে যাওয়া কোনো সম্পর্কে সততার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখেন অধিকাংশ নারী। তারা চান, পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে বেশ খানিকটা ভাল সময় কাটাতে। তাতেই মনের ময়লা সাফ হোক, এমনটাই পছন্দ তাদের।
কিন্তু পুরুষসঙ্গীর প্রার্থিত যৌনতার পথে কি তারা হাটতে রাজি হন? সমীক্ষা জানাচ্ছে, নারীদের চাওয়া আলাদা হলেও পুরুষ সঙ্গীর চাওয়াকে হেলাফেলা করেন না তারা। যৌনতায় রাজি হন তারা। পুরুষ সঙ্গীকে বুঝিয়ে দেন, যৌন সক্রিয়তায় তারাও কম যান না।
এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যায় এ সমীক্ষায়।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন