সম্প্রতি কয়েকটি ওয়েব সিরিজের কন্টেন্ট নিয়ে সমালোচনা উঠলে তা নিয়ে শিল্পী-কলাকুশলীদেরও দ্বিধাবিভিক্তি দেখা দেয়। এক পক্ষ ওয়েব সিরিজের পক্ষে বিবৃতি দেন, অন্য পক্ষেও বিবৃতি আসে তা বন্ধের জন্য।
তথ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, ওয়েব সিরিজের নামে ‘সেন্সরবিহীন অশালীন ভিডিও কন্টেন্ট’ আপলোড ও প্রচার করা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লংঘন ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থি’।
“এ ধরনের সেন্সরবিহীন, নগ্ন ও অশালীন দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার দেশের প্রচলিত আইন যেমন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ এর ৬৯ ধারা, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ও ৮ ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর পেনাল কোড, ১৮৬০ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।”
“আপনার (জিপি-রবি) প্রতিষ্ঠানের মতো বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠানের নিকট এ ধরনের কার্যকলাপ মোটেই কাম্য নয় “বলা হয় চিঠিতে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ওয়েব সিরিজ নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সরকার ওয়েব সিরিজের বিপক্ষে নয়। তবে পশ্চিমা বিশ্বকে অনুকরণ করে দেশের ওয়েব সিরিজে ‘ন্যুডিটি’, ‘ভালগারিজম’ তুলে আনা সমীচীন নয়।
অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, গ্রামীণফোন ও রবির ওয়েব সিরিজ আপলোড করার আইনি ভিত্তি আছে কি না, তা যাচাই করবেন তারা।
“যদি আইনগত অনুমোদন না থাকে তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর যদি আইনগত অনুমোদন থাকেও, ভিডিও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কনটেন্টগুলোর আইনভঙ্গ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুতরাং সরকার এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে,” বলেছিলেন তিনি।