বিষণ্ণতা রুখতে দীপিকার লড়াই
প্রযুক্তি এবং অর্থনীতির প্রসার যত বাড়ছে মানুষে মানুষে দূরত্বও তত বাড়ছে। যার ফলাফল বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই বিষণ্ণতার রোগে ভুগছে। উঁচুস্তরের মানুষ থেকে নিচু স্তর, ছাত্র থেকে চাকরিজীবী কেউ বাদ যাচ্ছেনা এই তালিকা থেকে। এদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন।
বিষণ্ণতার সেই দিনগুলোকে তিনি ‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতা' বলে উল্লেখ করেছেন। সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেন, তিনি এখনও নিশ্চিত নন যে তিনি বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন কিনা।
আলোচনায় দীপিকা জানান, স্কুলের পাঠ্যসূচিতে মানসিক স্বাস্থ্য যোগ করার জন্য তিনি নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বড় অংশের একটা ভয় আসে স্কুল থেকেই। কেননা স্কুলে শুধু মাত্র শারীরিক শিক্ষার কথাই বলা হয়। স্কুলে আমার শারীরিক শিক্ষা ছিল। কিন্তু আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার মত কিছু ছিলনা।এটা আমাদের পাঠ্যসূচির অংশ নয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা এটা স্কুল লেভেলের পাঠ্যসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ধারণা বা এর গুরুত্ব সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেই তাবে দোষের কিছু হবেনা’।
বিষণ্ণতার কারণে কোন ছবি হাতছাড়া হয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তিনি নিশ্চিত নন। কিন্তু কিছু প্রযোজক রয়েছে যারা কখনও তার কাছে যায়নি।
তিনি বলেন, ‘হতে পারে কিছু মানুষ আমায় ছবি করার জন্য প্রস্তাব দেয়নি কারণ তারা ভাবে আমি বিষণ্ণতায় ভুগছিলাম এবং আমি অভিনয় করতে পারিনা। সম্ভবত, আমি জানিনা। আমি একটি ভাল জায়গায় আছি কারণ আমি যে ছবিতে অভিনয় করতে চাই তা নির্বাচন করতে পারি। কিন্তু আমার মনে হয়না সবার সে সুযোগ আছে যে কোথায় এবং কখন তারা কাজ করতে চায়’।
দীপিকা, ‘দ্যা লিভ লাভ লাফ’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘নীতিনির্ধারক এবং কর্মক্ষেত্রে মানুষকে জানতে হবে এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে যাতে মানসিক অসুস্থতার শিকার থেকে লোকজন বেরিয়ে আসতে পারে। তারা যেন চাকরি হারানোর ভয় না পায়’।