ফেসবুক লাইভে কাঁদলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে কাঁদলেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। একই সাথে বিবাহ ও ডিভোর্সের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তিনি কাঁদতে কাঁদতে বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেন।
এভ্রিল বলেন, আমি জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল যে কিনা পৃথিবীর সব মানুষের কাছে সম্মান রেখে কয়েকটি কথা বলতে যাচ্ছে; আর চুপ করে থাকতে পারেনি। জানি, আপনাদের অনেকের অনেক ধরনের প্রশ্ন আছে আমার কাছে। কেন আমি বিয়ের ব্যাপরটা গোপন করেছি? কেন আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি?
তিনি আরো বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে কোনো বাঁধাবিপত্তিতে মাথা নত করিনি। একটা ১৬ বছরের মেয়েকে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে, সেই মেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে। সেই মেয়ে এখন সাকসেসফুল। সেই মেয়ে তার সমাজের কোনো কথা শোনেনি। আশপাশের কারো কথা কানে নেয়নি। তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যেখানে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ একটি দৈনন্দিন ঘটনা, সেখানে বাল্যবিবাহ আমি মানতে পারিনি।’
এভ্রিল বলেন, ১৬ বছরে বিয়ে দিলেই কোনো মেয়ের বিয়েটা হয় না। সেটা বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য। আমি চেয়েছিলাম সে সবের বিরুদ্ধে কাজ করতে।
আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি, একটা মেয়ে চাইলে অনেক কিছুই পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম রোকেয়ার বাংলাদেশে একটা মেয়ে চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। চাইলে নিজের অধিকার নিজে আদায় করে নিতে পারে- বললেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, আমি ডিভোর্সি, ফাইন, আমি একটা মেয়ে। এজ এ হিউম্যান আমার রাইট আছে, একটা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করার। কই আমি তো নিজের জন্য কিছু চাইনি! আমি চেয়েছিলাম আপনাদের দেশের মেয়েগুলাকে জাস্ট দেখিয়ে দিতে যে, একটা মেয়ে চাইলে কী কী পারে।
গত শুক্রবার মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র খেতাব জেতেন এভ্রিল। নাম ঘোষণা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। এরপর গণমাধ্যমে তার বিয়ে ও ডিভোর্সের খবর প্রকাশ হয়। এদিকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খোলাসা করা হবে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।
