• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

তিন বছরেও শুরু হয়নি গাজীপুর মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণ কাজ

প্রকাশ:  ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

প্রথম ঠিকাদার কাজ করতে আগ্রহী না হওয়ায় এক বছর পুনরায় টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করলেও সেই ঠিকাদারও গত দুই বছরে কাজ শুরু করেনি। ফলে গত তিন বছরেও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার চারতলা ভবনের কাজ শুরুই হয়নি। অথচ একই টেন্ডারের অন্য ৫টি প্রতিষ্ঠানের ৪তলা ভবনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জের ৬টি মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণে ২০কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় [যার স্মারক নং ৩৭৭০০০১৫৯১৮(১৪৫)] অনুমোদিত হয়। এই ৬টি প্রতিষ্ঠান হলো- দাখিল মাদ্রাসা, কড়ৈতলী আলিম মাদ্রাসা, মাছুমপুর ফাজিল মাদ্রাসা, মানুরী ফাজিল মাদ্রাসা, চরপোঁয়া আলিম মাদ্রাসা ও গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। ইতিমধ্যেই গাজীপুর আহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাড়া বাকি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর আহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে টেন্ডার হয়। কিন্তু কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় পরের বছর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পুনরায় টেন্ডার দিলে প্রতিষ্ঠানের কাজ পান ঠিকাদার মোঃ ফারুক খান। কার্যাদেশ পাওয়ার এক বছর পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ঠিকাদার মাদ্রাসার সামনে লোক দেখানোর জন্য প্রায় ১৫ হাজার ইট এনে স্তূপ করে রাখেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো কাজই শুরু করেন নি ঠিকাদার।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রথম টেন্ডারে প্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ না করার কারণে এক বছর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার টেন্ডার হয়। ঠিকাদার মোঃ ফারুক খানকে আমরা প্রতি মাসেই কাজ শুরু করার জন্য বললে তিনি বলেন, ধরছি, ধরবো, এই মাসেই ধরতেছি। এমন করতে করতে ২ বছর চলে গেছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইট এনে রাখেন। কিন্তু এখনো কোনো কাজ ধরেননি।
ঠিকাদার মোঃ ফারুক খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যে ভবনের কাজ শুরু করবো। এর বাইরে আর কিছুই বলতে চাননি তিনি।
চাঁদপুর জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন জানান, ঠিকাদার ফারুক খানকে আমরা নোটিস দিয়েছি দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য।

সর্বাধিক পঠিত