প্লে-নার্সারি ও প্রাক-প্রাথমিক এখনই খুলছে না
প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করা হলেও প্রাক-প্রাথমিক ও প্লে-নার্সারির শিক্ষার্থীদের সশরীর ক্লাস এখনই খোলা হচ্ছে না।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ১২ সেপ্টেম্বর শুধু এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন আসবে। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ৬ দিন এবং বাকিদের একদিন ক্লাস করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শুরুতে সপ্তাহে একদিন করে ক্লাসে আসবে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ধীরে ধীরে অন্য শ্রেণিগুলোকেও প্রতিদিন ক্লাসে আনার চেষ্টা করা হবে।
তবে সভায় প্রাক-প্রাথমিক, কেজি স্কুলের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানান, প্রাক-প্রাথমিক, কেজি স্কুলের প্লে ও নার্সারির শিক্ষার্থীদের এখনই ক্লাসে আনা হবে না।
তবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীদের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। এর মধ্যে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও আছে।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য এখনই খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের ক্লাসে আনা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা স্তর রয়েছে। আর ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কিন্ডার গার্টেনগুলোতে প্লে গ্রুপ, নার্সারি ও কেজি নামে আলাদা প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।