জাবিতে অনলাইনেই নেয়া হলো শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের নতুন ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ জুন) সকালে ভার্চুয়াল নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে আবেদনকারী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়া শুরু হয়।
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল শাহীন খান শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। আশা করি, আজকেই সব প্রার্থীর সাক্ষাৎকার শেষ করতে পারব।’
অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন হলে সশরীরে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেয়া যেতে পারে। যেহেতু শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনলাইনে সাক্ষাৎকারের পদ্ধতি ছিল না, তাই অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পর সিন্ডিকেট সভার অনুমতিতে নিতে হবে।’
দর্শন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিতে হলে অধ্যাদেশের পরিবর্তনের কথা বলেছে ইউজিসি। কিন্তু অধ্যাদেশের কোনো পরিবর্তন না করেই শুধুমাত্র নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই আজকের (শনিবার) এই সিলেকশন বোর্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখার জন্য আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি। লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমেও বিশ্ববিদ্য্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান করা হয়। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা অনলাইনে নিয়োগের ভাইভা নিচ্ছে। এটা স্পষ্টই আইনের অসম্মান করা।’
এর আগে শুক্রবার (১১ জুন) অনলাইন সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের নতুন ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াকে ‘নজিরবিহীন’ উল্লেখ করে নিয়োগ বন্ধের দাবিতে ইউজিসিতে চিঠি, হাইকোর্টে রিট, লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো ও সংবাদ সম্মেলন করেন বিভাগের শিক্ষকদের একাংশ।
এদিকে গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাহী পরিষদের সভায় কোনো বিভাগের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের জন্য ‘একেবারেই অপরিহার্য না হলে’ অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন শিক্ষক নিয়োগ না করার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অনুরোধ জানানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলতে পারবেন।’
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজকে মোবাইলে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।