পুরানো কোনো স্বপ্ন নয়, নতুন করে ভাবতে হবে এবং নতুন কিছু করতে হবে

হাজীগঞ্জের রাজারগাঁওয়ের সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক, হাজীগঞ্জের কৃতী সন্তান ড. জামাল উদ্দিন। গতকাল শনিবার এই ন্যানো প্রযুক্তিবিদ বিজ্ঞানী হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট ক্লাবের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ড. জামাল উদ্দিন বলেন, দেশে ন্যানো প্রযুক্তি (অতি ক্ষুদ্র বিষয়ের প্রযুক্তি) নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে এবং চেষ্টাও করছি। ইতিমধ্যে আমি গবেষণার পাশাপাশি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছি। সর্বসাকুল্যে মানব কল্যাণে কাজ করাই আমার লক্ষ্য।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাসুদ আহাম্মদের সভাপ্রধানে ড. জামাল উদ্দিন আরো বলেন, দেশে এসে কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছি, তাদেরকে সময় দিচ্ছি। আমাদের সময় শেষের দিকে। আগামী দিনে যারা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে, তারা যেনো দেশ ও জাতির জন্যে সুফল বয়ে আনতে পারে এবং মানব কল্যাণে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার চেষ্টা করছি।
ড. জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি নিজে স্বপ্ন দেখেছি এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। এতে করে সফলতা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। তোমাদেরকেও স্বপ্ন দেখতে হবে এবং স্বপ্নের বাস্তবায়নে পরিশ্রমী চেষ্টা করতে হবে। তবে অন্যের দেখানো বা পুরানো কোনো স্বপ্ন নয়, নতুন করে ভাবতে হবে এবং নতুন কিছু করতে হবে। যা এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। তাহলে তুমি সফল হবে।
সহকারী অধ্যাপক নাজমা আক্তারের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কলেজের দাতা সদস্য মোঃ আবুল বাসার, অভিভাবক সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন ও মোঃ মজিবুর রহমান তালুকদার, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ সেলিম, সহকারী অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান, আনম মফিজুর রহমানসহ সকল শিক্ষক, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. জামাল উদ্দিন সোলার এনার্জি সেল উদ্ভাবন করে নতুন মাইলফলক রচনা করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে অবস্থিত কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ^বিদ্যালয়ের ন্যানোটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের গবেষক হিসেবে বিশে^র সবচেয়ে কার্যকরী সোলার এনার্জি সেল উদ্ভাবন করেছেন। এ সেল উদ্ভাবনে তার সঙ্গে কাজ করেছেন চারজন শিক্ষানবিশ গবেষক।