• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের পাস করাতে অসাধু শিক্ষকের কান্ড!

কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ॥ পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশ:  ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ এমদাদ উল্যা প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়ার জন্যে আগের দিনই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয় বলে অভিযোগ উঠে।
গত ২৭ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার ৫ম দিন গতকাল রোববার ৭ম শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আগেরদিন শনিবার সন্ধ্যায় ওই বিষয়ের শিক্ষক এমদাদ উল্যা তার প্রাইভেটের শিক্ষার্থীকে হুবহু প্রশ্নপত্র গাইড বইয়ে দাগিয়ে দেয়। রাতেই ওই দাগানো প্রশ্নপত্র একই শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমো ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে চালাচালি হয়।
জনৈক অভিভাবক বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিকদের অবহিত করলে পরদিন রোববার কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাকিবুল হাসান ও যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। সাংবাদিকরা বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কলিম উল্যাহকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তার কাছে থাকা ৭ম শ্রেণির প্রশ্নপত্রের সাথে যাচাই করলে তা হুবহু মিলে যায়।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক এমদাদ উল্যার কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের গাইডে দাগিয়ে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কলিম উল্যাহ জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অবহিত হওয়া মাত্রই পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরি মিটিং করে ওই বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত রাখি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনার সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক মহল।

 

সর্বাধিক পঠিত