মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র স্ক্যানিং হচ্ছে যেভাবে
রকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র স্ক্যানিং শুরু হয়েছে। পৃথক দুটি ইন্টিলিজেন্স ক্যারেকটার রিকগনিশন (আইসিআর) মেশিনে প্রতি মিনিটে ২০টি খাতা স্ক্যানিং করা হচ্ছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে শুরু করে ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত পরীক্ষক কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রাথমিক স্ক্যানিংয়ের কাজ চলছে।
নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের নেতৃত্বে একটি টিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি টিম খাতা স্ক্যানিংয়ের কাজ করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ঢাকার বাইরের ৫টি কেন্দ্র ব্যতীত সব কেন্দ্রের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পুলিশি প্রহরায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে পৌঁছেছে। পরীক্ষক টিমের সবার উপস্থিতিতে আইসিআর মেশিনের মাধ্যমে উত্তর ও প্রশ্নপত্র স্ক্যানিংয়ের কাজ চলছে।
যে কক্ষটিতে পরীক্ষক টিম কাজ করছেন সে কক্ষটিতে তিনি নিজেও যাচ্ছেন না বলে জানান স্বাস্থ্য মহাপরিচালক।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বছর পর্যন্ত দুই-দিনের মধ্যেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হলেও এবার অতিরিক্ত আরও দুদিন লাগতে পারে।
কারণ, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য বছর ওএমআর মেশিনে শুধু উত্তরপত্র স্ক্যান করলেই হতো। কিন্তু এবার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দুটোই স্ক্যান করা হবে।
তিনি জানান, গত বছর পর্যন্ত শুধু উত্তরপত্র (এ-৪ আকারের কাগজ) প্রবেশ করিয়ে স্ক্যান করা হতো। আকারে ছোট হওয়ায় এতে সময় কম লাগতো। কিন্তু এবার ভিন্ন পদ্ধতিতে ও ভিন্ন মেশিনে উত্তর ও প্রশ্নপত্র উভয়ই স্ক্যান করে দেখা হবে। এবার আগের তুলনায় বড় আকারের (এ-৩ আকারের কাগজ) আইসিআর মেশিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ কারণে সময় বেশি লাগবে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর ছিল।
এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি চার হাজার ৬৮টি ও বেসরকারি ছয় হাজার ৩৩৬টিসহ ১০ হাজার ৪০৪টি আসনের বিপরীতে মোট ৭২ হাজার ৯২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৭ হাজার ৯ জন বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।