• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দেশসেরা চাঁসক শিক্ষার্থী সীমা আর নেই ॥ গ্রামের বাড়ি মতলবে দাফন সম্পন্ন

প্রকাশ:  ০৩ জুলাই ২০১৯, ১০:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে চাঁদপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের দেশসেরা কৃতী শিক্ষার্থী মতলবের সীমা আক্তারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত ১ এপ্রিল সোমবার বাদ মাগরিব মরহুমার জানাজাশেষে মতলব দক্ষিণের লাক গ্রামস্থ বায়তুল ঈদগাহ জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
ওইদিন দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সীমা আক্তার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে...রাজেউন)। মরহুমার মৃত্যুকালীন পিতা, মাতা, ৩ ভাই ও ৪ বোনসহ অনেক আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সীমা তার মেধার চমক দেখালেও সর্বশেষ তার না ফেরার দেশে অকালে চলে যাওয়াটা ছিলো হতবাক হওয়ার মতো। তার এই আকস্মিক চলে যাওয়াটা সহপাঠী ও পরিচিতজন সবাইকে শোকের সাগরে ভাসালো। সীমার জানাজার নামাজে চাঁদপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান প্রফেসর আনিসুল ইসলাম, এই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, মোঃ শাহজাহান মিয়া ও শুকরে আলমসহ সীমার সহপাঠী প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
প্রফেসর আনিসুল ইসলাম জানান, আমরা সবাই গভীরভাবে শোকাহত। দেশের একটি সম্পদ অকালে চলে গেলো। আমরা তার জানাজায় অংশ নিয়েছি এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্ত¡না দিয়েছি। আমাদের অধ্যক্ষ মহোদয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভায় উপস্থিত থাকাতে জানাজায় যেতে পারেননি। আমরা কলেজে শোকের ব্যানার লাগিয়েছি। সহসা শোকসভা ও দোয়া মাহফিল করবো।
সীমা আক্তার সারাদেশের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স তৃতীয় শিক্ষাবর্ষে জিপিএ ৪.০০ (বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেড পয়েন্ট এটি সর্বোচ্চ) পেয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজ তথা বাংলাদেশকে চমকে দিয়েছিলো। মতলব দক্ষিণ উপজেলার লাকশিবপুর গ্রামের আব্দুল কাদির প্রধান ও খুশি বেগম দম্পতির কন্যা এই সীমা আক্তার।
সীমা আক্তার লাকশিবপুর ফিরোজা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ ও ঢাকার ডেমরা শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এই মেধাবী মেয়েটি দীর্ঘদিন ফুসফুসে ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলো বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তার চিকিৎসার পাশাপাশি চতুর্থ বর্ষের ফলাফলের জন্যেও ভালো প্রস্তুতির মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
তার একাধিক সহপাঠী জানায়, চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার পূর্বে সবাইকে সীমা বলেছিলো ‘ইনশাআল্লাহ, এবারও সে জিপিএ-৪ পাবে এবং সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে।’ কিন্তু তাঁর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে তার সহপাঠীরা এখন শুধু দোয়া করছে দুনিয়ার এমন ভালো ফলাফলের বিপরীতে পরকালে যাতে আল্লাহতা’য়ালা তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন।

 

সর্বাধিক পঠিত