ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা : পাকিস্তানীদের চোখে বাংলাদেশের গণহত্যা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন
একাত্তরের গণহত্যার এই প্রামাণ্যচিত্র শিক্ষার্থীদেরকে ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করবে : ড. গোলাম রহমান
মহান স্বাধীনতা দিবস-২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা : পাকিস্তানীদের চোখে বাংলাদেশের গণহত্যা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ২৫ মার্চ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে এ প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধান তথ্যকমিশনার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হামিদুল হক খান এবং প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ফুয়াদ চৌধুরী। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক সেলিম আহমেদের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এএমএম হামিদুর রহমান, সহযোগী ডিন ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাখাওয়াত আলী খান, সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. তৌফিক-ই-এলাহী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গোলাম রহমান বলেন, বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আমাদেরকে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমন জানতে হবে তেমনি ইতিহাস, ঐতিহ্যও জানতে হবে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আবশ্যিকভাবে জানতেই হবে। কারণ এটাই আমাদের শিকড়। শিকড়কে ভুলে কোনো জাতি কখনো উন্নত হতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি প্রদর্শনীটি আয়োজন করার জন্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
ড. গোলাম রহমান আরো বলেন, তরুণরাই আগামীদিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। সুতরাং তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের জানার ও বোঝার মধ্যে যদি ফারাক থাকে তবে ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষিত হবে না। এজন্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চার পরিধি বাড়াতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সবচেয়ে গর্বের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরা আমাদের উপর নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল। সেই গণহত্যা সম্পর্কে পাকিস্তানিদের দৃষ্টিভঙ্গি কী, সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই প্রামাণ্যচিত্রে।
প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করতে চার বছর সময় লেগেছে জানিয়ে ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, কানাডার টরেন্টোতে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা বাস করেন। ঘটনাচক্রে তাদের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। তাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্র।
অনুষ্ঠানে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাচ, গান, আবৃত্তি ও অভিনয় পরিবেশন করেন।