ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘বনাঞ্চল গবেষণা ও ব্যবস্থাপনায় মানুষবিহীন বায়বীয় ব্যবস্থার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর সহযোগিতায় এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে ‘বনাঞ্চল গবেষণা ও ব্যবস্থাপনায় মানুষবিহীন বায়বীয় ব্যবস্থার গুরুত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনার গত বুধবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ^বিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার এবং প্রধান আলোচক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত বনাঞ্চল বিশেষজ্ঞ ও ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের গবেষক ড. ডিমেট্রিওস গাটজিওলিস। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ড. এবিএম কামাল পাশা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, বৈশি^ক উষ্ণতা বৃদ্ধি, বৃক্ষ পাচারসহ নানা কারণে বাংলাদেশের বনাঞ্চল বিরাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবেলার কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য ব্যাপকভিত্তিক গবেষণা প্রয়োজন। কিন্তু দুর্গম বনের ভিতর গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কষ্টসাধ্য বিষয়। বনের ভিতর না গিয়ে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়েই আজকের সেমিনার। এই সেমিনার থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় প্রধান আলোচক ড. ডিমেট্রিওস গাটজিওলিস বলেন, সারা পৃথিবীর জলবায়ুই বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বনাঞ্চলগুলো। সুন্দরবনও এর বাইরে নয়। একে রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে হবে এখনই। এজন্যে গবেষণা প্রয়োজন। আর গবেষণার প্রয়োজনে বনের দুর্গম এলকার তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন। এসব তথ্য সংগ্রহের কাজে এখন ড্রোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি বলে জানান তিনি।
ড. ডিমেট্রিওস গাটজিওলিস অরো বলেন, ড্রোনের মাধ্যমে গভীর বনের ভিতর থেকে উন্নত মানের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা যায়। এই প্রযুক্তি এখন বাংলাদেশ সরকারের বনবিভাগও ব্যবহার করছে বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ড্রোন তৈরিকে সাধুবাদ জানান। শিক্ষার্থীরা বনাঞ্চল গবেষণায় ড্রোন ব্যবহার করে একটি কার্যকর গবেষণা উপহার দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।