ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
গবেষণায় সেরা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘গবেষণা পুরস্কার প্রদান উৎসব-২০১৯’ আজ রোববার ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে বিশ^দ্যিালয়ের ২৩০ জন শিক্ষককে পুরস্কার প্রদান করা হয়। যাঁদের লেখা ১৮৮টি গবেষণা প্রতিবেদন গত বছর (২০১৮) স্কোপাস/আইএসআই ইনডেস্কে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে তিনজন সেরা শিক্ষককে ‘বেস্ট একাডেমিক রিসার্চ লিডার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া এবং একই বিভাগের প্রভাষক বিকাশ কুমার পাল।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক, গবেষণা বিভাগের পরিচালক ও প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ কবিরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে হলে তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হয়। প্রথম বিষয় হচ্ছে জ্ঞানের সৃষ্টি করা, যার জন্য গবেষণা প্রয়োজন। দ্বিতীয় হচ্ছে গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে ধারণ করার জন্য বিভিন্ন জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ এবং তৃতীয় বিষয় হচ্ছে জ্ঞানকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এসব শর্ত পূরণ করে অসামান্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি শিক্ষকদেরকে নিত্য নতুন গবেষণার প্রতি আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো মানের গবেষণা হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারছে না। এর পেছনে বিশ^বিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটকে দায়ী করেন এই শিক্ষাবিদ। তিনি বলেন, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা তথ্য নেই। যেসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান র্যাংকিং তৈরি করে তারা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে আরও তথ্যসমৃদ্ধ আধুনিক করার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ সবুর খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা। এজন্যে গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষকরা গবেষণায় ভালো করছেন। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং শিক্ষকদের আরও বেশি বেশি গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষরূপে গড়ে তুলতে হবে যাতে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী নিয়োগের জন্যে সরাসরি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে।
বিশ্বের চারশ’র অধিক বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গে ড্যাফোডিলের সম্পৃক্ততা রয়েছে উল্লেখ করে ড. মোঃ সবুর খান আরো বলেন, শিক্ষকদের উচিত এসব সুবিধা গ্রহণ করা। তাদের উচিত আরও বেশি করে শিক্ষক বিনিময় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা।