ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘এটুআই প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ ফান্ডের জন্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
এটুআই শুধু ভালো ভালো আইডিয়াকে পুরস্কৃত করেই দায়িত্ব শেষ করে না, বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকে : প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের (সিডিসি) আয়োজনে ‘এটুআই প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ ফান্ডের জন্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক এক সেমিনার গত ৩০ জানুয়ারি বিশ^বিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফান্ড প্রদানের জন্য এটুআই প্রকল্প প্রধানত দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। প্রথমত আপনার উদ্ভাবনী আইডিয়াটি সময় বাঁচায় কিনা, ব্যয় কমায় কিনা এবং প্রদর্শনযোগ্য কি না। দ্বিতীয়ত আইডিয়াটি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করবে কি না। এই দুটি শর্ত পূরণ করলে এটুআই ওই আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্যে ফান্ড সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়। তাই শিক্ষার্থীদেরকে তিনি আইডিয়া উদ্ভাবনের সময় এ দুটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, এটুআই শুধু ভালো ভালো আইডিয়াকে পুরস্কৃত করেই দায়িত্ব শেষ করে না, বরং ওই আইডিয়াকে বাস্তবায়নের জন্যে শেষ পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। এটুআই ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ফান্ড দিয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ সবুর খান বলেন, প্রতি বছর এটুআই প্রকল্প লাখ লাখ টাকা ফান্ড দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা সম্ভবত এ বিষয়ে জানেই না। এটা দুঃখজনক। তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে আরও চৌকস হতে হবে। চারপাশে কোথায় কী ঘটছে সব বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতে হবে।
তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে অসম্ভব মেধাবী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা বিস্ময়কর সব উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে বসে আছেন। তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকতা দিলে তারা উদ্ভাবনী জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলবেন। এ ব্যাপারে এটুআই এগিয়ে আসার জন্য তিনি এটুআই প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে এটুআই এবং ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।