• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এসএসসি পরীক্ষা

হাজীগঞ্জে এমসিকিউ প্রশ্ন পরিবর্তন করে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে দেবার অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এমসিকিউ প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলি করার কিছু পরেই শিক্ষার্থীদের নজরে আসে প্রশ্ন পরিবর্তনের বিষয়টি। হলের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন পরিবর্তন করে দেয়া হলেও পরিবর্তন থেকে বাদ থেকে যায় কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তবে এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হবে না বলে নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে কোনো অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মুঠোফোনে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান কুমিল্লা বোর্ড কন্ট্রোলার আসাসুজ্জামান।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, এ দুটি কেন্দ্রে এমসিকিউ প্রশ্ন বিলি করতে গিয়ে ১৮ সালের সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদেরকে ১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন আর ১৯ সালের সিলেবাসের শিক্ষার্থীদেরকে ১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন দেয়া হয়। প্রশ্ন বিলি করার কিছু পরে কিছু পরীক্ষার্থী বিষয়টি টের পেয়ে দায়িত্বরত শিক্ষকদের জানান। এরপরেই কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ শিক্ষকগণ সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন পরিবর্তন করে দিলেও বাদ পড়ে যায় কিছু পরীক্ষার্থী। এই পরীক্ষার্থীরাই পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকসহ কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এরপরেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক/কর্মকর্তাগণ বিষয়টি নিয়ে উপরে কথা বলেন আর সম্ভাব্য সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী একজন পরীক্ষার্থীর মা শাহেদা বেগম জানান, আমার মেয়ে ২০১৯ সালের সিলেবাসের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী। সে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী বাংলা ১ম পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষা দিয়েছে। এ সময় তিনি ও তার মেয়ে (পরীক্ষার্থী) কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ভুক্তভোগী এক পরীক্ষার্থী জানান, এমসিকিউ প্রশ্ন দেয়ার কিছুক্ষণ পর বিষয়টি নজরে আসে। তারপর আমি হল পর্যবেক্ষক স্যারকে বিষয়টি জানালে তারা আমাকে আবারো একই প্রশ্ন এনে দেন। তারপর পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা একজন ম্যাডাম বলেন, কোনো সমস্যা হবে না, তুমি পরীক্ষা দাও। একই অভিযোগ করেন ফারহানা নামের আরেকজন পরীক্ষার্থীসহ কয়েকজন।
এ বিষয়ে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।
হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা একাডেমিক সুপাভাইজার সুনির্মল দেউড়ি জানান, এ বিষয়ে যেটা হয়েছে সেটা পরীক্ষার শুরুতেই শিক্ষার্থীদেরকে সমাধান করে দেয়া হয়েছে। তবে খাতা বান্ডেল করার সময় ১৯ সালের সিলেবাসের খাতা ১৯ সালের আর ১৮ সালের সিলেবাসের খাতা ১৮ সালের সাথে বেঁধে দিলে কোনো সমস্যা হবে না।
কুমিল্লা বোর্ড কন্ট্রোলার আসাসুজ্জামান জানান, সাল ঠিক রেখে খাতা ব্যান্ডেল করে দিলে শিক্ষার্থীর কোনো ক্ষতি হবে না। তবে যারা এ বিষয়ে দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের বিষয়ে কোনো অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

 

সর্বাধিক পঠিত