• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজী এ করিম খান উবির মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

প্রকাশ:  ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ (পুরাণবাজার) রঘুনাথপুর হাজী এ করিম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে  ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটিসহ সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় মিছিল করে। তারা অবিলম্বে তাদের খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
    গত ২০ জানুয়ারি রোববার সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের সম্মুখস্থ রয়েজ রোডের পাশজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূরুল ইসলাম মিয়াজী জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলমুক্ত করতে চাই। আমরা মনে করি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অন্যায়ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নেবে তা কোনো সচেতন লোক মেনে নেবে না। যেখানে সরকার শিক্ষাবিস্তারে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উন্নয়নে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, সেখানে কোনো ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে রাখবে তা সম্ভব হবে না বলে আমরা বিশ^াস করি। আশাকরি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিবেন। আমরা আজ শিক্ষামন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসক মহোদয়কে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, মাঠের বর্তমান দখলকৃত স্থানটি একটি পতিত জমি ছিল। মোঃ আমির হোসেন গাজী নামে একজন দানশীল ব্যক্তি বিদ্যালয়কে ৮ শতাংশ জমি দান করেন। এ দানকৃত অংশের কিছু জমি মোঃ সামছুল হক গাজী ধীরে ধীরে ২/১ হাত করে দখল করতে থাকেন। বিষয়টি আমরা প্রথমদিকে তেমন গুরুত্ব না দেয়ায় তার দখলের পরিধি দিন দিন বাড়তে থাকে। আমরা তাকে এ দখল থেকে বিরত থাকার জন্যে পরামর্শ দিয়ে বলি, বিদ্যালয়টি আমাদের সকলের। এ মাঠটি এভাবে দখল হয়ে গেলে ছাত্র-ছাত্রীরা কোথায় গিয়ে খেলবে। এ মাঠটি আমাদের বিদ্যালয়ের অহঙ্কার, যা অনেক বিদ্যালয়েরই নেই। কিন্ত তিনি তা শুনলেন না। তাই ম্যানেজিং কমিটিসহ অভিভাবকগণ মাঠের অবৈধ দখল মুক্ত করতে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। আশা করি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে তা দখলমুক্ত করতে পারবো।
    অবৈধ দখলদার হিসেবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সামছুল হক গাজীর সাথে আলাপ করলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অস্বীকার করেন। তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ এনেছে তা সঠিক নয়। আমার পৈতৃক সম্পত্তির আরো বেশকিছু জমি এখনো স্কুলের দখলে রয়েছে।
    তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সম্মুখ স্থান জুড়ে যে খেলার মাঠ রয়েছে সেই মাঠের পশ্চিম দক্ষিণ দিকে বেশখানিকটা ভেতরে ঢুকেই নির্মাণ হয়েছে মোঃ সামছুল গাজীর বসতঘর। অর্থাৎ স্কুলের মাঠ দখল করা হয়েছে। যা করা না হলে মাঠের সৌন্দর্যসহ প্রশস্ততা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতো।
    

 

সর্বাধিক পঠিত