অরিত্রির আত্মহত্যা: ক্ষমা চাইলেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ
ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস।
মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকরা স্কুল প্রাঙ্গনে তার কার্যালয়ে যান। এসময় আলাচারিতার একপর্যায়ে সবার সামনে হাত জোড় করে ক্ষমা চান তিনি।
অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, এটি খুব দুঃখজনক ঘটনা, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমাদের একজন ছাত্রীর মৃত্যু হল-সে জন্য আমরা সবাই ক্ষমা প্রার্থী। ছাত্রীর বাবা-মায়ের কাছেও আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
তিনি বলেন, ঘটনাটি এতদূর গড়াবে তা অনুধাবন করতে পারিনি। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেবে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত করে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গভর্নিং বডির সদস্য আতাউর রহমান, তিন্না খুশি জাহান মালা, শিক্ষক ফেরদৌসী বেগমকে তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
শিক্ষকরা মানবিক না-এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, অবশ্যই বাচ্চাদের প্রতি শিক্ষকদের মানবিক হওয়া উচিত। বোঝাতে হবে, যে তুমি এ ধরনের অন্যায় করবা না, এটা খারাপ। আমি সজ্ঞানে কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি না। আমরা সব শিক্ষককে বলে দিয়েছি-তারা যেন সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন।
অরিত্রির মৃত্যুতে আজ বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে।
তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অধ্যক্ষ বলেন, সেটাও আমরা ব্যবস্থা করব। বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করব। ওরা যা চায়, সেভাবেই ব্যবস্থা হবে। ওরা যেভাবে চায়, সেভাবেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা পরীক্ষা দিতে পারছে না, ওরা আমাদের জানিয়েছে। যে আমরা পরীক্ষা দিতে পারছি না আজকে। আমাদের আরেকদিন পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমরা সে ব্যবস্থা করেছি।
এদিকে, ভিকারুননিসা নুন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা। আর তার আত্মহত্যার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার পরীক্ষায় খারাপ করায়, নবম শ্রেণির ‘ক’ শাখার ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর সামনেই তার বাবাকে ডেকে অপমান করেন এক শিক্ষক। এই ঘটনায় অভিমান করে আত্মহত্যা করে অরিত্রি। নিহতের বাবার নাম দিলীপ অধিকারী। তার বাসা রাজধানীর শান্তিনগরে।