শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপ্রিয় হলেও মত প্রকাশকে লালন করা উচিত: ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রক
অস্বস্তিকর ধারণা কখনোই চেপে রাখা উচিৎ নয়, বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গনে। বরং ছাত্র-ছাত্রীদের উচিৎ বিতর্ক আর আলোচনার মধ্যে দিয়ে অপ্রিয় ভাবনা বা ধারণার মোকাবিলা করা উচিৎ এমনটি বলেছেন ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান।
যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে 'অফিস ফর স্টুডেন্ট' বা 'ওএফএস' নামে যে দপ্তর, তার প্রধান স্যার মাইকেল বারবের মনে করেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জোরালো বিতর্ক' চলতে পারে এমন নির্ধারিত স্থানই থাকা উচিৎ।
তার মতে, এমন স্থানের উদ্দেশ্য হবে,'সত্যের সন্ধান খুব সহজ নয় ঠিকই তবে তার প্রচেষ্টায় থাকতে হয় প্রতিনিয়তই।'
তিনি বলেন যে, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন একজন প্রধান নিয়ন্ত্রককে হতে হবে মুক্ত কথার 'নির্লজ্জ চ্যাম্পিয়ন'।
লন্ডনে উচ্চ শিক্ষার নিয়ে আয়োজিত 'ওনকফেস্ট' কনফারেন্স অংশ নিয়ে এক বক্তব্যে স্যার মাইকেল বলেন যে, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই চিন্তা বা ভাবনার অবদমন বা চেপে যাবার বদলে যুক্তি দিয়ে আপত্তিকর কথার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিৎ।
তিনি বলেন, "অস্বস্তিকে মোকাবিলার উপায় এর বিরুদ্ধে নিজের মধ্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, একে লুকানো বা এর থেকে পালানো নয়।"
"প্রকৃতপক্ষে, আমার যুক্তি হল অস্বস্তিদায়ক বা পীড়াদায়ক ভাবনাই কোন কিছু শেখার বা সত্যকে উদঘাটনের অন্যতম উপায়।"
তার দপ্তর 'ওএফএস' আইনের মধ্যে থেকে বাক-স্বাধীনতার সর্বোচ্চ চর্চাকে উৎসাহিত করে বলেন জানান স্যার মাইকেল। তার মতে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেমিনার বা ক্লাসের বিষয়গুলোকেও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলতে পারে।
স্যার মাইকেল সেখানে বলেন, "শিক্ষার্থীদের অনাকাঙ্ক্ষিত চিন্তা বা বিষয় থেকে সুরক্ষিত রাখার একধরনের প্রবণতা রয়েছে।"
"কিন্তু মুক্ত মত প্রকাশ হল স্বাধীনতার অন্যতম প্রতিষ্ঠিত অনুষঙ্গ, তাই সবার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বাক স্বাধীনতা লালনের স্থান হওয়া উচিৎ।"