• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৩৭৮ জন সহকারী শিক্ষককে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার

প্রকাশ:  ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৩৭৮ জন সহকারী শিক্ষককে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। গত ৯ সেপ্টেম্বর, রোববার রাতে এসব পদে নিয়োগ প্রদানে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে ওয়েবসাইটের (নঢ়ংপ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ) মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
    পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়ভিত্তিক পদসংখ্যা অনুযায়ী বাংলা বিষয়ে ৩৬৫ জন, ইংরেজি ১০৬ জন, গণিত ২০৫ জন, সামাজিক বিজ্ঞান ৮৩ জন, ভৌতবিজ্ঞান ১০ জন, জীববিজ্ঞান ১১৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষা ৮ জন, ভূগোল ৫৪ জন, চারুকলা ৯২ জন, শারীরিক শিক্ষা ৯৩ জন, ধর্ম ১৭২ জন এবং কৃষি শিক্ষা বিষয়ে ৭২ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
    সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১০ম গ্রেড অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা এবং নিয়মানুযায়ী অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ সুবিধা।
    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্র জানায়, দেশে মোট ৩৪৭টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষকের পদ আছে ১০ হাজার ৩৪৪টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৯১টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীর পদও শূন্য রয়েছে প্রায় ২ হাজার। প্রধান শিক্ষক নেই প্রায় একশ’র উপর স্কুলে। ৪৭১টি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের মধ্যে ৪৬৩টি পদ শূন্য। মাধ্যমিক স্কুলে তীব্র শিক্ষক সঙ্কট কমাতে একসঙ্গে বড় ধরনের নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ৪২৩ জনকে পদোন্নতির তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত করেছে কমিশন।
    মাউশির তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে কারিকুলাম ও সিলেবাস পরিবর্তন করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি), শারীরিক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা নতুন এ চারটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। নতুন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে এক বিষয়ের শিক্ষককে পাঠদান করতে হচ্ছে অন্য বিষয়ে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের শূন্যতা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত দুরূহ হয়ে পড়েছে।

 

সর্বাধিক পঠিত