• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শাহরাস্তিতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে স্কুলছাত্র গুরুতর আহত

প্রকাশ:  ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শাহরাস্তিতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাসান ইমাম সালমান (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট সোমবার দুপুরে উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউপির উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল আঊয়াল শ্রেণিকক্ষে অমনযোগিতার অভিযোগে নবম শ্রেণির ছাত্র সালমানকে (রোল নং-১) বেদম প্রহার করে। ওই ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়লে এক ঘন্টা পর সে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ছাত্রের পিতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মোঃ আবদুর রহিম জানান, আমি পাশ^বর্তী পঞ্চনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য। আমার উপর ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে ছেলের উপর এ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আবদুল আউয়াল জানান, আমি গত ৩ বছর যাবত ওই শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে আসছি। সে অত্যন্ত মেধাবী। ইদানিং তার পড়ালেখায় অমনযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘটনার দিন শ্রেণিকক্ষে একটি অংক কষতে দিলে সে তা সমাধান করতে পারেনি। আমি এজন্যে তাকে বেত দিয়ে ৩-৪টা আঘাত করি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রহমত উল্যাহ বিএসসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনার সময় বিদ্যালয়ে ছিলাম না। পরে পুরো বিষয়টি অবগত হই। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল আউয়াল জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা এলাকার ডাঃ শাহজাহানের পুত্র। তিনি ১ জানুয়ারি ২০১৫ সালে এ বিদ্যালয়ে খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
শ্রেণিকক্ষে বেতের ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের শারিরিক শাস্তি না দেয়ার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এ ধরনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের শারিরিক নির্যাতনের ঘটনা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ক্ষুন্ন করছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

সর্বাধিক পঠিত