চবিতে নির্মাণ হচ্ছে ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে পাহাড় আর সবুজের মাঝে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশের এই সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হলেও এতোটা বছর পর্যন্ত নিমার্ণ হয়নি কোনো ভাস্কর্য।
ভাস্কর্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভাবর্ধক। সেই হিসেবে চবির বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী ক্যাম্পাসের মিডল পয়েন্ট শহীদ মিনার ও বুদ্ধিজীবী চত্ত্বর সংলগ্ন চার রাস্তা মোড়ের মাঝখানে চবির প্রথম ভাস্কর্য ‘জয় বাংলা’র নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
ভাস্কর্যটির ডিজাইনার হলেন চবি চারুকলা ইনস্টিটিয়টের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব জাহান। ভাস্কর্যটি অন্যান্যা ভাস্কর্য গুলো থেকে আলাদা’র কারণ জানতে তিনি বলেন অন্যান্যা সকল ভাস্কর্যে নারীকে যুদ্ধে পরোক্ষ অংশগ্রহন দেখানো হয়েছে কিন্তু এটাতে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন দেখানো হয়েছে।
ভাস্কর্যটির উচ্চতা প্রায় ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ২২ ফুট। উপরের মুক্তিযোদ্ধাদের উচ্চতা ১১ফুট এবং নিচে শিক্ষার্থীদের উচ্চতা ৫ ফুট। ভাস্কর্য নির্মাণ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ভাস্কর্যের দুটি স্তর থাকবে। এর মধ্যে উপরের অংশে থাকবে তিনজন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব। যার মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী।
এর মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নারী ও পুরুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বুঝানো হয়েছে। নিচের অংশে থাকবে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করার বহিঃপ্রকাশ। নিচের অংশে থাকবে ১৮ জন শিক্ষার্থীর অবয়ব। এতে দুজন পাহাড়ি বাঙালির অবয়ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি বাঙালিদের অংশগ্রহণও তুলে ধরা হয়েছে।
ভাস্কর্যের নাম সম্পর্কে ভিসি প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখেছি কি নাম দেওয়া যায়, যে নাম গুলো মোটামুটি সিলেক্ট হয়েছে তা কোনো না কোনো জায়গায় আছে, তবে ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য কোথাও নেই। আর তাছাড়া ‘জয় বাংলা’ বললে শরীরে অটোমেটিকলি একটা জোশ আসে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গন্ধ পাওয়া যায়।