• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় ‘অভিভাবকহীন’ রুয়েট

প্রকাশ:  ১২ জুন ২০১৮, ১৪:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৮ মে। মেয়াদ শেষ হওয়ার দশ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত শীর্ষ এ পদে কাউকে নিয়োগ দেয়নি সরকার। এতে ‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়েছে রুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ ছাড়া গত তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচর্যের পদটিও শূন্য রয়েছে।

রুয়েট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ মে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহা. রফিকুল আলম বেগকে রুয়েটের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ২৮ মে তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়। এরপর থেকে রুয়েটের উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে।

এদিকে, রুয়েটে উপাচার্য না থাকায় বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে সংশয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দশ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে কবে নাগাদ নিয়োগ দেবে তাও বলা যাচ্ছে না। এতে করে রুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে ব্যাঘাতসহ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সংশয়ে রয়েছেন। বিশেষ করে বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভেতর ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দল ও বহিরাগতদের নৈরাজ্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত কয়েক মাসে রুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার ও টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ে যেকোনো সময় সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রুয়েটের কয়েকজন শিক্ষক। ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই তারা যোগ্য কাউকে উপাচার্য  হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। 

রুয়েটের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য না থাকায় এরই মধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিভিন্ন কাজে আর্থিক অনুমোদন ও নানা ধরনের আবেদনপত্রে স্বাক্ষরসহ প্রশাসনিক কাজগুলো উপাচার্য ছাড়া কেউ করতে পারেন না। ফলে উপাচার্য না থাকায় এসব কাজগুলো সম্পন্ন না হওয়া এক ধরনের স্থবিরতার মধ্যে রয়েছে প্রশাসিক কার্যক্রম।

রুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের জন্য উপাচার্য স্যারের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এখনতো উপাচার্য নাই। তাই সেই কাজগুলো করা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কাজ আংশিক করার পর উপাচার্যের অনুমোদনের জন্য আটকে আছে।’

সর্বাধিক পঠিত