ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জাবি ছাত্রলীগের মারামারি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ সেশনের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকাল ৪.৩০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ পথের (ডেইরি গেট) সামনে সহ-সভাপতি শামীম খান ও নাহিদ হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
মারামারির ঘটনার বিষয়ে সহ-সভাপতি শামীম খান অভিযোগ করে বলেন, আমার পরীক্ষার্থী রানা পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাস থেকে তার গন্তব্য স্থানে চলে যাওয়ার সময় শহীদ রফিক-জব্বার হলের সাজ্জাদ (ফিনান্স ৪৫) ও রবিন (ফিনান্স ৪৬) তাকে কাছে ডাকে সে তাদের কাছে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা দুজন মিলে রানাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে রানার সাথে থাকা বন্ধুরা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানায়। মারধরকারী রবিন ও সাজ্জাদ সহ-সভাপতি নাহিদ হোসেনের অনুসারী শামীম জানান।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাজ্জাদ ও রবিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নাহিদ হোসেন ডেইরি গেটে শামীম খানের সাথে কথা বলতে আসলে শামীম খান উত্তেজিত হয়ে যান। এক সময় সহ-সম্পাদক হাসান ইশতিয়াক হৃদয়, আইন সম্পাদক কার্তিক ঘোষ নীরব, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নিলাদ্রি শেখর মজুমদার, মাহিন শাহরিয়ার নাহিদ হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে নাহিদ হোসেনের অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে শহীদ সালাম বরকত হলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আ.ফ.ম কামাল উদ্দিন হলের জুনিয়র ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে নাহিদ হোসেন বলেন, মারধরের ঘটনা শুনে সমাধান করতে গেলে আমার সামনেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আমি তাদের শান্ত করি।
এ বিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেছি। রবিন এবং সাজ্জাদ যেহেতু এখনো ছাত্রলীগ কর্মী নয়। সে জন্য ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। মারধরের বিষয়টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসনকে অবগত করেছি।