• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এটি আত্মহত্যা, না খুন ?

প্রকাশ:  ২৪ মে ২০২১, ০৮:৩৪ | আপডেট : ২৪ মে ২০২১, ১০:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউনুছ খানের ছোট ছেলে বিজয় খান (২২)-এর লাশ ২১ মে ভোরে বাড়ির পাশে কবরস্থানের নিকট ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়ায় যায়। নিহত বিজয় খানের বড় ভাই ইমরান হোসেন মুক্তার জানান, ঘটনার দিন রাত ১০টায় বাড়ির পাশের ঘাটলায় তাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখেছি। এরপর আমি বাসায় চলে যাই। রাতে বিজয় শেখ ঘরে ফেরেনি। আর এ ঘটনাটি জানা যায় ভোর সাড়ে ৪টায়। যখন আমরা জানতে পারি সে ঘরে ফেরেনি তখনি খোঁজাখুজি শুরু হয়। তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করলেও রিসিভ করেননি। পরে পাশের বাড়ির এক মেয়ে আম কুড়াতে বাগানে গেলে সেখানে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। নিহতের বড় ভাই আরো জানান, আমি ও আমার বোন এসে আমার ভাইকে ঝুলন্ত দেখতে পেয়ে সে বেঁচে আছে ভেবে নিচে নামাই। যখন তাকে নিচে নামাই তখন তার হাতে মোবাইল ফোন, কানে হেডফোন লাগানো ছিলো। আমি তাকে নিচে নামিয়ে কোলে করে হাসপাতালে নেয়ার জন্যে দৌড় দিলে আমি আমার ভাইকে নিয়ে মাটিতে পড়ে যাই। আর তখন অনুভব করি তার পুরো শরীর শক্ত হয়ে আছে। তখন বাড়ির লোকজন জড়ো হলে সকলে বলে যে, আমার ভাই আর বেঁচে নেই। পরে ইউপি মেম্বার জাহিদকে জানালে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মিজিকে ফোন করে ঘটনাটি জানান।
এ বিষয়ে বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মিজির নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদ আমাকে ভোরে ফোন করে ঘটনাটি জানালে আমি থানায় খবর দিলে মডেল থানার এসআই আলমগীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং লাশের ময়না তদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিজয় শেখ যে গাছের সাথে ঝুলন্ত ছিলো সে গাছটি নিচু এবং চিকন। তার ওজন গাছটি নিতে পারার কথা নয়। এ বিষয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করে বলেন, সে কি আসলেই আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, কিছুদিন যাবৎ সে মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে কথা বলতো এবং ঘটনার দিন সে মোবাইলে কথা বলেছিলো। রাতে সে মেয়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বলেছে, আমি আত্মহত্যা করবো। আর এ কথা বলেই নাকি মোবাইল বন্ধ করে ফেলে। পরে ওই মেয়ে ০১৬৯০-১১২৯৭৭ নাম্বার থেকে ফোন করে নিহতের চাচাতো ভাই জিহাদকে জানায়। জিহাদ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় এ বিষয়ে আর গুরুত্ব দেননি। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্টের পরে পরিষ্কার হবে যে, এটি কি আত্মহত্যা, না খুন।

 

সর্বাধিক পঠিত