মতলবে স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিং॥ থানায় অভিযোগ
মতলব দক্ষিণে এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে জেঠাতো ভাই তামজীদ (১৫)-এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা মোঃ সানাউল্লাহ মোহন।
জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর বাড়ৈগাঁও গ্রামের সানাউল্লাহ মোহনের মেয়ে নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আজমিরী আক্তার রিয়া যে কোনো প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে একই বাড়ির সম্পর্কে জেঠাতো ভাই তামজীদ ওই ছাত্রীর পিছু নেয়। তামজীদ নানা অশ্লীল কথা বলে ও অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। রিয়া সে ঘটনা পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরিবারের লোকজন স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করতে না পেরে গত ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
আজমিরী আক্তার রিয়া জানায়, আমি ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ঢাকায় পড়াশুনা করেছি। করোনার প্রভাবে গত ৬মাস পূর্বে দেশের বাড়িতে চলে আসি ও নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হই। পড়াশুনা, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে বাড়ি থেকে বের হলেই আমার জেঠাতো ভাই তামজীদ আমাকে বাজে ব্যবহার করে ও অশ্লীল কথা বলে। বিষয়টি আমি আমার বাবা-মাকে জানাই। পরে তাকে পারিবারিকভাবে সতর্ক করা হলেও আমাকে ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত করা বন্ধ হয়নি। উপায়ন্তর না পেয়ে আমার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন।
রিয়ার বাবা সানাউল্লাহ মোহন বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় একজন ভালো ছাত্রী। আমার আশা মেয়েটা লেখাপড়া করে নিজে আত্মনির্ভরশীল হবে। কিন্তু ঢাকা থেকে আসার পর থেকেই ওই ছেলে আমার মেয়েকে ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত করে চলেছে। এতে সে লেখাপড়ায় মনোনিবেশন করতে পারছে না ও হীনমন্যতায় ভুগছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধা করতে না পেরে থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত তামজীদের পিতা মিজানুর রহমান জানান, তারা চাচাতো বোন ও জেঠাতো ভাই। বাড়ির মধ্যে আসা যাওয়া ছিল। এ বিষয়টি (ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত) জানার পর আমি আমার ছেলেকে শাসন করেছি।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, অভিযোগের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।