• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

গুণরাজদীতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কিশোরকে ছুরিকাঘাত

গুণরাজদীতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কিশোরকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশ:  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আবারো বেড়েছে। অভিভাবকদের অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে অল্প বয়সে মাদকের সাথে জড়ানোসহ ছেলেরা বখাটে হয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকা-ে লিপ্ত হচ্ছে কিশোর বয়সী ছেলেরা। তেমনি একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো হয়েছে চাঁদপুর শহরের দক্ষিণ গুণরাজদী এলাকায়। সে এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রহমান নামে এক কিশোর মাহি নামে আরেক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে সে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকটি চক্রকে ধরার জন্য দিন-রাত পাড়া-মহল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন। অভিযানে বিভিন্ন সময় এই চক্রের কয়েকশ' সদস্যকে আটকও করেন তিনি। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোয় শহরের মানুষ ওসি মোঃ নাসিম উদ্দিনেকে ধন্যবাদ জানান। অভিযানের ফলে কিছুদিন এই গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধ থাকার পর এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এমনই এক কিশোর গ্যায়ের সদস্যরা গতকাল ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১টায় মাহি ইসলাম সিমান্ত (১৫) নামে এক কিশোরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও বেধড়ক মারধর করে। মারধরের শিকার হয়ে আহত মাহি ইসলাম শহরের দক্ষিণ গুণরাজদী তালুকদার বাড়ির ভাড়াটিয়া শহীদুল ইসলামের ছেলে। সে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র। আহত মাহি ও তার পিতা শহিদুল ইসলাম জানান, মাহি গুণরাজদী মন্টু পাটওয়ারী বাড়ির সামনের মাঠে খেলতে যায়। খেলার সময় আরিফ নামে এক কিশোরের সাথে মাহির বাকবিত-া হলে সে বাসায় চলে আসে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আরিফ কথা আছে বলে মাহিকে ঘর থেকে বের করে রওশন রাইস মিল মাঠে নিয়ে যায়। এ সময় খলিফা বাড়ির মানিক খলিফা, আরিফ, রহমানসহ প্রায় ৪/৫ জন মাহিকে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর শুরু করে। পরে রহমানের পকেটে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মাহির পিঠে আঘাত করে। এ সময় মাহির ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাং আরিফ বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত মাহিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাহির পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।