• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে চাঁসক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত জখম

প্রকাশ:  ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দেলোয়ার হোসেন (২১) নামে এক মেধাবী কলেজ ছাত্রের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করেছে কিশোর গ্যাং। গতকাল ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর শহরের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন অঙ্গীকারে এ ঘটনা ঘটে। আহত দেলোয়ার হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আলোনিয়া গ্রামের লেদু মিয়ার ছেলে। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র। তার ১১ নভেম্বর পরীক্ষা বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের জিয়া ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার সময় তিনি অঙ্গীকারে বসে অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন। এ সময় তার নিকটতম স্থানে অন্য দুজন কিশোর-কিশোরী বসে কথা বলছিলো। এ সময় প্রফেসর পাড়া এলাকার সফিক পাটওয়ারীর ছেলে বখাটে শুসান তার বন্ধু ১৫/২০ জন কিশোর নিয়ে সেখানো জড়ো হয়। তারা সেখানে ওই দুই কিশোর-কিশোরীকে ইঙ্গিত করে বিভিন্ন আজেবাজে কথা বলে এবং ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তখন চাঁসক ছাত্র দেলোয়ার তাদেরকে এমন আচরণ কেনো করছে তা জিজ্ঞেস করে। এ নিয়ে শুসানসহ ওই কিশোররা দেলোয়ারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা সবাই কলেজ ছাত্র দেলোয়ারকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তারা দেলোয়ারের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে।
এ সময় একটি অটোতে থাকা বাবুল নামের যাত্রীসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই কিশোর গ্যাং দেলোয়ারকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় এবং শরীরে উপর্যুপরি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
ঘটনার খবর পেয়ে জিয়া ছাত্রাবাসে থাকা অন্য ছাত্ররা এসে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। পরক্ষণেই খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ কলেজের অন্যান্য ছাত্র হাসপাতালে তাকে দেখতে ছুটে আসেন। বিকেলের দিকে কলেজের শত শত ছাত্র হাসপাতালে জড়ো হয়। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও ক’জন কলেজ ছাত্র জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন জানান, এখনো মামলা দায়ের হয়নি, প্রক্রিয়া চলছে। অপরাধীদের আটক করতে আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।   
এদিকে এই বখাটে শুসানের বিষয়ে জানা গেছে, সে শহরে এমন বহু মারামারির ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটিয়েছে। প্রফেসর পাড়া এলাকাবাসীও এই কিশোরের বখাটেপনা ও নানা অপরাধের অভিযোগ করেন। এর জন্যে এই কিশোর বখাটের পরিবারকেই দায়ী করছে এলাকাবাসী।ছবি-০৪

 

সর্বাধিক পঠিত