• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পুলিশকে সহায়তা করায় দোকানঘরে মা ইলিশ নিধনকারীদের হামলায় যুবক আহত

প্রকাশ:  ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১০:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরতলীর পুরাণবাজারের দোকানঘর এলাকায় মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে টহলরত  পুলিশকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়ার অপরাধে খোরশেদ মিয়া নামে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে মা ইলিশ নিধনকারী জেলে গ্রুপের প্রধান আবুল বরকন্দাজ গং। গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৩টায় দোকানঘর ওয়াপদা রাস্তার উপর সন্ত্রাসীরা এ ঘটনাটি ঘটায়।
বর্তমানে আহত খোরশেদ মিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী খোরশেদ মিয়া জানায়, ঘটনার দিন রাতে ঘটনাস্থলে আমি কন্ট্রাক্টরের মালামাল পাহারা দেয়া  অবস্থায় সিএনজি স্কুটারযোগে আসা ক’জন পুলিশ আমার পরিচয় পেয়ে তারা নদীর পাড়ে যাওয়ার রাস্তা কোন্টি এবং মা ইলিশ কোথায় বিক্রি হয় জানতে চাইলে আমি রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে বলি, এখানে মাছ বিক্রি হয় কি না জানি না। এর কিছুক্ষণ পর স্কুটার নিয়ে এসে আমি পুলিশকে কেনো রাস্তা দেখিয়ে দিলাম এই বলে আবুল বরকন্দাজ এবং তার ছেলে সাগর বরকন্দাজ আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে জখম করে। এ সময় মৃত ছাত্তার বরকন্দাজের ছেলে আবুল বরকন্দাজ, মৃত আক্তার বরকন্দাজের ছেলে ইউনুছ আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করে এবং আমাকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ব্যাপারে খোরশেদ মিয়া বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আবুল বরকন্দাজের নেতৃত্বে দোকানঘর এলাকায় ব্যাপক হারে মা ইলিশ নিধনের জন্যে জেলেদেরকে নদীতে পাঠানো হয়। তিনি ওই এলাকার ২০/৩০টি জেলে নৌকাকে নেতৃত্ব দেন এবং মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। তিনি সকল পক্ষকে ম্যানেজ করেন বলে মোবাইল ফোনেও অনেককে হুমকি দেন। এ ব্যাপারে তার কণ্ঠের মোবাইল ফোনের রেকর্ডিংয়ের প্রমাণও রয়েছে বলে বেশ ক’জন এলাকাবাসী জানান।
এ বিষয়ে আবুল বরকন্দাজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সরাসরি কথা বলার জন্যে অনুরোধ জানিয়ে নিউজটি না ছাপানোর জন্যে বলেন।
নিষিদ্ধ মৌসুমেও থেমে নেই দোকানঘর, বহরিয়া বাজার, হরিণাঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার নদীতে ইলিশ শিকার। দেদারছে ইলিশ শিকার করছে জেলেরা। চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকাসংলগ্ন পদ্মায় অনেকটা গোপনেই জেলেরা ব্যস্ত থাকে ইলিশ শিকারে। কিন্তু প্রকাশ্য বাজারে ইলিশ বিক্রি করতে না পারায় খুবই সস্তায় জেলেরা নদীর পাড়ে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন।