ফরিদগঞ্জে অচেতন করে দুই পরিবারের সর্বস্ব লুট ॥ অচেতন ১০ জন
দুই সপ্তাহের মধ্যেই ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আবারো নেশাজাতীয় মিশ্রিত খাবার বা নেশাজাতীয় স্প্রে ব্যবহার করে সর্বস্ব লুটের ঘটনা ঘটেছে। এবার উপজেলার ৪নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ঘড়িহানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা দুই পরিবারের লোকজনকে রাতের খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে বা স্প্রে করে অচেতন করে ঘরের মধ্যে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল নিয়ে যায়। এই ঘটনায় দুটি পরিবারের ১০ জন সদস্য অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঘড়িহানা গ্রামের কাজী বাড়ির মুকবুল মিয়া ও পার্শ্ববর্তী বাগার বাড়ির তৈয়ব আলীর ঘরের সকলে বুধবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় আশপাশের লোকজন সন্দেহ হলে ঘরে গিয়ে দেখে সকলে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় ঘরের আলমিরাসহ সবকিছু এলোমেলো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা দুই পরিবারের ঘরের থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ সকল কিছু লুট করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উভয় পরিবারের সদস্য প্রবাসে থাকে। অচেতন অবস্থায় থাকা দুই পরিবারের সদস্যরা হলেন শাজাহান কাজী (৫০), রাণী বেগম (৪০), সাহানাজ (২৫), সুমাইয়া (৭), মানিক মিজি (৩৫), রুমা বেগম (২০), আলমগীর (২৭), মিনু (৪৩) ও আকলিমা (২৫)। বর্তমানে তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন মিয়া ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, দুর্বৃত্তরা উভয় ঘরে সিঁদ কেটে ও ভেনটিলেটর ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করেছে মনে হয়। এছাড়া ওই পরিবারের সদস্যদের খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে বা নেশাজাতীয় স্প্রে ব্যবহার করে সকলকে অচেতন করে তারা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অনুসন্ধান চলছে। ইতিপূর্বে এই ধরনের একটি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি এই ঘটনাটির রহস্যও বের হয়ে আসবে।