কচুয়ায় প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার
কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের সর্দার বাড়ির ‘লম্পট’ সাদ্দাম হোসেন (৩২)কে ধর্ষণ মামলার আসামী হিসেবে কুমিল্লার পিবিআই অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স গ্রেফতার করেছে। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কচুয়া উপজেলার হাশিমপুর মিয়ার বাজারের ডাঃ শাহাদাতের ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২ আদালতের মামলা সূত্রে প্রকাশ, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার চেঙ্গাহাটা গ্রামের ৪ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এই নারী কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী।
জানা গেছে, ওই নারীর শ্বশুর বাড়ি সংলগ্ন একটি মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়ে সাদ্দাম ব্যবসা করে আসছিলো। এ সুবাদে সাদ্দাম ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো এবং ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরিচয় হয়। এ আসা-যাওয়ায় সাদ্দাম একসময় ওই নারীর অজান্তে গোসলখানায় তার গোসল করার দৃশ্য এবং অন্যান্য আপত্তিকর ভিডিও তার মোবাইলে ধারণ করে। এই ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদ্দাম প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং প্রায়ই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতেও সাদ্দাম ক্ষ্যান্ত না হয়ে আরো ৫ লাখ টাকার দাবিসহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়ায় নিরূপায় হয়ে ওই অসহায় নারী (প্রবাসীর স্ত্রী) তার পিত্রালয়ে আশ্রয় নেন। সাদ্দাম এখানেও ২০-০৯-২০১৯ খ্রিঃ তারিখে বিকেল ৪টার দিকে ওই নারীর পিত্রালয়ে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ৫ লাখ টাকা দেয়ার দাবিতে বাগ্বিত-ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ওই নারীর ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আসতে দেখে সাদ্দামসহ তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪৯০/১৯। কুমিল্লা পিবিআইর অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তাদের ঝটিকা অভিযানে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে গতকাল ১৬ অক্টোবর বুধবার কুমিল্লার আদালতে সোপর্দ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাদ্দামের গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, সাদ্দাম এভাবে আরো একাধিক নারীর অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ব্লাকমেইল করে আসছে। সাদ্দাম এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় এসব করে যাচ্ছে। এলাকাবাসী তার এসব অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।