মতলবে ২ দিনে চার ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরে গত ১১ অক্টোবর ও ১২ অক্টোবর কলাদী এলাকায় ২ দিনে ৪টি ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। এতে চোর প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও মোবাইল সেট চুরি করে নিয়ে যায়।
গত ১২ অক্টোবর মতলব বাজারের পূর্ব কলাদী গাজীর স’মিলের পাশে মোজাম্মেল কাজীর বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটিয়া ময়না বেগমের বাসায় চুরি হয়েছে। এতে তার ঘরে থাকা প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে চোরের দল।
ভুক্তভোগী ময়না বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো সকাল ৯টায় বাসায় তালা দিয়ে আমার মেয়ে মরিয়মকে নিয়ে মতলব কওমী মাদ্রাসায় চলে যাই। পরে বেলা ১১টায় বাসার মালিকের মুঠোফোন পেয়ে বাসায় এসে দেখি ফ্ল্যাটের দরজার তালার আংটা ভাঙ্গা এবং কক্ষের ভেতরে আলমারির তালা ভাঙ্গা ও আসাবাবপত্র ওলট-পালট অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে পড়ে রয়েছে। আমার স্বামী সৌদি আরবে থাকে। ওই আলমারিতে থাকা আমার ব্যবহৃত প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে চোরের দল। খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়াও গত ১১ অক্টোবর রাতে কলাদী (ঘোষপাড়া) এলাকায় প্রবাসী শরীয়ত উল্লাহ মনার বাসায় অভিনব কায়দায় দরজা খুলে তার ঘরে থাকা মোবাইল, পাসপোর্টসহ নগদ অর্থ নিয়ে গেছে চোরের দল। পরে চোর পাসপোর্ট রাস্তায় ফেলে গেলে সেটা রাতেই মালিকপক্ষ পেয়েছে। ওই রাতে পূর্ব কলাদী গাজীর স’মিলের পাশে মোস্তফা পাটোয়ারীর বাসার জানালা দিয়ে টুটুল পাটোয়ারীর ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল সেট নিয়ে গেছে চোরের দল। একই রাতে জানালা খুলে কলেজ রোডের ওয়ালটন প্লাজার পেছনে আবু তাহেরের বাসায় তার ছেলে তরিকুল ইসলাম ও ভাগিনা রাজুর স্যামসাং ব্র্যান্ডের ২টি মোবাইল সেট ও গ্যালাক্সি ট্যাব নিয়ে গেছে চোরের দল।
একাধিক পৌরবাসী জানায়, ইদানীং মতলব পৌর এলাকায় ব্যাপকভাবে চুরি বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে মতলব বাজার এলাকায় বেশ ক’টি স্থানে চুরি হয়েছে। এতে মূল্যবান মালামাল হারাচ্ছে পরিবারগুলো। এমন পরিস্থিতিতে চোর-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন বলে আশা করছেন পৌরবাসী।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, সব ক’টি চুরির ঘটনা আমাকে অবহিত করা হয়নি। তবে চুরির ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। চুরির তথ্যগুলো পেলে আমাদের জন্যে চোর ধরা সহজ হবে। চোর ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।