চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারের ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অভিযোগ
চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিঞার প্রাইভেট চেম্বারের ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর মতলব দক্ষিণের নবকলস গ্রামের জান্নাতুল মাওয়া (৫)-এর জ¦র হলে ডাঃ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিঞার নতুন আলিম পাড়াস্থ চাইল্ড কেয়ার প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসার জন্যে আনা হয়। ডাক্তারের দেয়া ব্যবস্থাপত্রে লেখা ঔষধ পরিবর্তন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ জান্নাতুল মাওয়াকে প্যাকেট করে দিয়ে দেয়া হয়। ডাক্তারের দেয়া ঔষধ নিয়মানুযায়ী শিশুটিকে খাওয়ানো হয়। কিন্তু শিশুটির জ¦র না কমে উল্টো তার পায়ে সমস্যা হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ বিষয়টি ডাঃ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিঞাকে জানানোর জন্যে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পায়নি জান্নাতুল মাওয়ার পরিবার।
জান্নাতুল মাওয়ার পিতা হযরত আলী বলেন, জুলাই ২০১৯ খ্রিঃ পর্যন্ত ঔষধের মেয়াদ ছিলো। আমার মেয়েকে ২১ সেপ্টেম্বর আমি ডাক্তার দেখাই। ১ মাস ২ দিন ঔষধের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ডাঃ আজিজের প্রাইভেট চেম্বারের ফার্মেসী হতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দেয়। এমনকি ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধের নাম যেটা লেখা হয়েছে সেই ঔষধ না দিয়ে পরিবর্তিত ঔষধ দেয়। এতে আমার মেয়ের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। পরে মতলব শহর হতে পরিবর্তিত ঔষধ ক্রয় করে থাকি।
একটি সূত্র জানায়, অধিকাংশ ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে থাকে। যা রোগীদের সাথে প্রতারণার সামিল।
এ ব্যাপারে ডাঃ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিঞার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রোগীরা ঔষধ ক্রয় করার সময় তারিখ দেখে ক্রয় করবে। মেয়াদ শেষ হলে কোনো সমস্যা হয় না। ঔষধের গুণাগুণ একটু কমে যায়।