হাইমচরে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম


হাইমচর উপজেলায় আঃ হক মোল্লা (৫৫) নামে ইউনিয়ন পরিষদের এক সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গতকাল রোববার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আসিবুল হাসান বলেন, আহত আব্দুল হক মোল্লাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মাথায় ৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তার পায়ে জখম রয়েছে।
আহত আঃ হক মোল্লা ৫নং হাইমচর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন। তিনি বেশ ক’ বছর মেম্বারের দায়িত্ব পালন করেন।
জানা যায়, গত ইউপি নির্বাচনে আঃ হক মোল্লা ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সরকার উভয়ই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের দুজনের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়।
এছাড়াও আঃ হক মোল্লার মাছের আড়তে গিয়ে প্রায়সময় বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সরকার ও তার লোকজন চাঁদা দাবি করে বলে জানান আঃ হক মোল্লা। এসব কারণে আঃ হক মোল্লার সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই প্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় হাইমচর ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাজারের জয়নালের দোকানে আঃ হক মোল্লাকে একা পেয়ে চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সরকারের নেতৃত্বে তার লোকজন মিলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং তার কাছে থাকা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আঃ হক মোল্লাকে উদ্ধার করে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখান থেকে ২৫ আগস্ট রোববার তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে আহত আঃ হক মোল্লা জানান, আমি এ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন আমার পেছনে লেগে আছে। সে কোনো প্রতিপক্ষ রাখবে না বলে হুমকি দিচ্ছে এবং প্রাণনাশের চেষ্টায় হামলা করাচ্ছে। এ ঘটনায় হাইমচর থানায় মামলা না নিলে কোর্টে মামলা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় এক মেম্বারের সাথে পূর্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রতিপক্ষরা আঃ হক মোল্লার সাথে গ-গোল করেছে। আমি বাজারে গিয়ে উভয়কে মানিয়ে দিয়েছি।