• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

প্রকাশ:  ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১০:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পুরাণবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে চুরি সংঘটিত হয়েছে। গতকাল ১৮ আগস্ট রোববার সকালে এ চুরির ঘটনা নজরে আসে। বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, গত ১৭ আগস্ট রাত ৩টা ২৫ মিনিটে হালকা পাতলা গড়নের ২০-২৫ বছরের এক যুবক খালি গায়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে প্রবেশ করে এবং নিজেকে সিসি ক্যামেরার হাত থেকে আড়াল করার জন্যে রুমে থাকা চেয়ারের তোয়ালে নিয়ে নিজের মুখ ঢেকে ফেলে সিসি ক্যামেরা অন্যদিকে সরিয়ে দেয়। ক্যামেরায় একজনকে দেখা গেলেও এ কাজে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দোতলায় থাকা বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে চোর ভেতরে ঢুকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে কিছু প্রমাণও পরিলক্ষিত হয়।
সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি থেকে অনুমান করা যায় যে, চোর প্রথমে সহকারী শিক্ষকদের ওয়েটিংরুম সংলগ্ন বাথরুম থেকে বের হয়ে সহকারী শিক্ষকদের রুমে থাকা ড্রয়ারসহ আলমারী তছনছ করে। পরবর্তীতে সে প্রধান শিক্ষকের রুমের দরজা সুকৌশলে খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং প্রধান শিক্ষকের রুমে থাকা স্টিলের আলমারিসহ টেবিলের ড্রয়ার ভাংচুরসহ আলমারিতে থাকা কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। চোরের দল প্রায় লক্ষ টাকাসহ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণেশ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ছুটি চলাকালীন গত ১৭ আগস্ট বেলা ১১টার সময় বিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন কাজ দেখাশোনা করে সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ চন্দ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন খান শিপনসহ বিদ্যলয়ের অফিসে বসে কিছু সময় অতিবাহিত করে বাসায় চলে যাই। আজ সকাল ৭টায় সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ বিদ্যালয়ে আসলে রিভারসাইড কিন্ডারগার্টেনের আয়া বিউটি ঘোষ বিদ্যালয়ের অফিস রুম খোলা রয়েছে বলে তাকে জানায়। বিশ্বজিৎ  সংবাদটি আমাকে জানালে  আমি দ্রুত ছুটে আসি। এসে দেখি আলমারি খোলা অবস্থায় এবং কাগজপত্র নিচে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ঘটনাটি আমি সাথে সাথে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিসহ শিক্ষকদের অবহিত করি এবং চাঁদপুর মডেল থানায় ঘটনা সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে না পারলেও বিদ্যালয়ের অনলাইনের খরচ বাবদ রক্ষিত টাকা, শিক্ষকদের কিছু গচ্ছিত টাকা, কল্যাণ ফান্ডের টাকা ও সততা স্টোরের বিক্রিত টাকাসহ প্রায় লাখ খানেক টাকা চুরি হতে পারে। আর বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কোনো নথিপত্র চুরি গেছে কিনা তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।
তবে অফিস কক্ষের কাগজপত্র তছনছ আর নগদ টাকা চুরি হলেও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে বিদ্যলয়ের সি সি ক্যামেরা, কম্পিউটার, মাইকসহ অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র। চোর যেভাবে ঢুকেছে তা খুবই দুর্ধর্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ। যদি ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকে থাকে তাহলে তা ছিল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এ ঝুকির পেছনে চুরি ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন।